সোমবারই কি সেই ঐতিহাসিক দিন? লোকসভা তো বটেই, রাজ্যসভার বাধা কাটিয়ে পাশ হবে নাগরিকত্ব বিল? জাতীয় December 8, 2019 অবশেষে কি পাস হতে চলেছে সেই ঐতিহাসিক নাগরিকত্ব বিল? জনমানসে এই নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকলেও, এই বিল পাস হওয়ার ব্যাপারে কোনো সংশয় নেই কেন্দ্রীয় সরকারের মনে। জানা গেছে, এই বিল যে সংসদে পাস হবে, সেই ব্যাপারে কার্যত নিশ্চিত হয়েই গতকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠকে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আজ লোকসভার বিজনেস অ্যাডভাইজারি কমিটির বৈঠকে স্থির হয়ে গিয়েছে যে, আগামী সোমবার লোকসভায় তা পাস করা হবে। যেখানে আলোচনার দিন হিসেবে মঙ্গলবার ধার্য করে চার ঘণ্টা সময় রাখা হয়েছে। বস্তুত, এর আগেও লোকসভায় নাগরিকত্ব বিল পাস হলেও রাজ্যসভায় তা আটকে গিয়েছিল। আর এবার সেই বিলে নতুন কিছু সংশোধনী অন্তর্ভুক্ত করে, তা নতুনভাবে সংসদের দুই কক্ষে আনতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে লোকসভায় বিজেপির পক্ষে এই বিল পাস করা কোনো ব্যাপার নয়। কেননা লোকসভায় তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে রাজ্যসভায় তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায়, তা নিয়ে কিছুটা হলেও সংশয় রয়েছে বিজেপির অন্দরে।তবে এবার রাজ্যসভাতেও এই বিল পাস করার ব্যাপারে যাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা যায়, তার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের ম্যানেজাররা। বিজেপির একাংশ আশা প্রকাশ করছে, শিবসেনার সঙ্গে তাদের জোট না থাকলেও, এই বিলে তারা সমর্থন জানাবে। পাশাপাশি বিজু জনতা দল, এআইডিএমকের মত দলগুলোর সমর্থন পাওয়া যাবে। অন্যদিকে নীতীশ কুমারের দলও জানিয়ে দিয়েছেন যে, তারা এই বিলে সমর্থন দেবে। ফলে সেদিক থেকে বিজেপি কিছুটা হলেও আশ্বস্ত রয়েছে। তবে বহুজন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো মায়াবতী এই বিলে বিরোধীতার করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। তবে শেষ মুহূর্তে তিনিও এই বিল সমর্থন করবেন বলে দাবি করছে গেরুয়া শিবিরের অনেকে। অন্যদিকে কংগ্রেস-তৃণমূল এনসিপি এবং সমাজবাদী পার্টি বিলের বিরোধিতা করলেও, শেষ পর্যন্ত তাদের গতিবিধি কি হয়, তার দিকে নজর রাখছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিশ্লেষকরা বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকার এই বিলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেবে যে এখানে অনুপ্রবেশকারীদের কোনো স্থান নেই। সেদিক থেকে যদি শুধুমাত্র বিরোধিতা করার জন্যই বিরোধীরা এই বিলের স্বপক্ষে ভোট না দেয়, তাহলে তাদের ভূমিকা নিয়ে জনমানসে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে। তাই বিরোধীদের সমর্থনও বিলের পক্ষে আসতে পারে। আর তার ফলেই অনায়াসে সংসদের দুই কক্ষেই পাস হয়ে যেতে পারে নাগরিকত্ব বিল বলে আশা কেন্দ্রের শাসকদলের। এখন শেষ পর্যন্ত এই বিল পাসে কি হয়, কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় গোটা পরিস্থিতি! সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের। আপনার মতামত জানান -