পার্থ চ্যাটার্জি-রাজীব কুমারের উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে আরও কড়া পদক্ষেপের পথে সিবিআই? কলকাতা রাজ্য August 17, 2019 লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন চিটফান্ড কাণ্ডে সিবিআইয়ের সক্রিয়তা চোখে পড়েছে। আর নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে, সেই সক্রিয়তা যেন আরও গতি পেয়েছে। একের পর এক তৃণমূল সাংসদ, নেতাদের জেরার জন্য ডেকে পাঠাতে শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর এবার তৃণমূলের অস্বস্তিকে বাড়িয়ে জেরার মুখে পড়লেন তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। রাজীব কুমারের সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সরাসরি রাজনৈতিক যোগসূত্র না থাকলেও, তাঁর জেরা আটকাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঐতিহাসিক’ ধর্ণা এখনও রাজ্য-রাজনীতিতে চর্চিত বিষয়। অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের মহাসচিবের গুরুদায়িত্ব সামলান। সূত্রের খবর, এদিন সিবিআইয়ের রাজ্য দপ্তর সিজিও কমপ্লেক্সে যখন পার্থবাবু এবং রাজীববাবুকে জেরা পর্ব চলছে, ঠিক তখনই সেখানে প্রবেশ করতে দেখা গেল সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর পঙ্কজ শ্রীবাস্তবকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকে বলছেন, এদিন দুপুর ২:১০ থেকে ৫:৫০ পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টা ধরে তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ম্যারাথন জেরা করা হয়। যেখানে পাঁচ জনের একটি বিশেষ কমিটি পার্থবাবুকে জেরা করে। জেরা পর্বের সম্পূর্ণ অংশ ভিডিও রেকর্ডিংও করা হয় বলে জানা গেছে। মূলত তৃণমূলের মুখপাত্র জাগো বাংলার তহবিলের সঙ্গে সারদার কোনো যোগাযোগ আছে কিনা, তা নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এদিন সিবিআইয়ের তরফে ডাকা হয়েছিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর একই দিনে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিয়ে জেরার মুখোমুখি হন কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। আর এই দুই হেভিওয়েটকে যখন জেরা করা হচ্ছে, ঠিক তখনই সিবিআই ডিরেক্টরের কলকাতার অফিসে আসা ঘিরে তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং রাজীব কুমারের বয়ান পরীক্ষা করে দেখবার জন্যই পঙ্কজ শ্রীবাস্তব কলকাতার অফিসে এসেছেন। সব মিলিয়ে এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং রাজীব কুমারের উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে সিবিআইয়ের এই হেভিওয়েট অফিসার পরবর্তী কি পদক্ষেপ নেন, সেই দিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -