সরকারি কর্মীদের জন্য বড়সড় সুখবর আসতে চলেছে? করোনা আবহে বড় ভাবনা সরকারের! জানুন বিস্তারিত জাতীয় বিশেষ খবর May 14, 2020 করোনা মহামারীর জেরে গোটা বিশ্বই কার্যত গৃহবন্দী। যেহেতু এই মরণ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক এখনও বের হয় নি, তাই আপাতত লকডাউন ও সামাজিক দূরত্বই বাঁচিয়ে রাখতে পারে আমজনতাকে। আর তাই, বেশিরভাগ বেসরকারি সংস্থা নিজেদের কর্মীদের জন্য বাড়ি থেকেই কাজ করার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু, বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা সেই সুযোগ পেলেও, সরকারি কর্মীদের জন্য সেই সুযোগ ছিল না। কি করেই বা থাকবে? যদি সরকারি কর্মীরাও বাড়িতে বসে থাকেন, তাহলে প্রশাসনটা চলবে কি করে? সাধারণ মানুষের কাছে পরিষেবাটা পৌঁছবে কি করে? কিন্তু এবার বোধহয়, সেই চিন্তা ভাবনায় বদল আসার সময় এসেছে। সরকারি কর্মীদের মুখে হাসি ফুটিয়ে, তাঁদের পরিবারবর্গের জন্য বড়সড় স্বস্তির খবর আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা আবহে যা নিঃসন্দেহে বহু মানুষের জন্য একটু হলেও স্বস্তির হতে পারে। একদিকে যেমন অফিস বাড়ির খরচ কমবে অন্যদিকে সামাজিক দূরত্বও বজায় থাকবে। এই চিন্তা ভাবনা নিয়েই এবার করোনা আবহে কেন্দ্রের নয়া পরিকল্পনা Work From Home। করোনা-র জেরে গোটা বিশ্ব অর্থনীতির এখন টালমাটাল পরিস্থিতি। তাতে বেশিরভাগ সংস্থাই বাড়িতে থেকে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর সেই পথেই এবার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্যও একই সুবিধা আনার কথা ভাবছে সরকার বলে সূত্রের খবর। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মিনিস্ট্রি অফ পার্সোনেল বা কর্মিবর্গ মন্ত্রক দ্বারা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের work from home – এর জন্য একটি খসরা তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, খসরাটিতে প্রস্তাবিত হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসগুলোতে ভবিষ্যতে উপস্থিতি কমাতে হবে এবং কেন্দ্রীয় চাকুরীজীবিদের বছরে কমপক্ষে ১৫ দিন work from home করতে হবে। ইতিমধ্যেই কর্মীবর্গ মন্ত্রক দ্বারা ই- অফিস চালু হতে চলেছে বলে জানা গেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ই- অফিসের মাধ্যমে ৫৭ টি মন্ত্রক তাদের ৮০ শতাংশ কাজ করতে সক্ষম হয়েছে। প্রায় ৫৭ টি মন্ত্রক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম- এর মাধ্যমে কাজ শুরু করে দিয়েছে। খসরায় বলা হয়েছে, ইলেকট্রনিক ফাইলগুলি দেখার জন্য এক স্তরের কর্মচারীদের ভিপিএন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আপাতত এই ভিপিএন কেবলমাত্র সহ সচিব এবং উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের জন্যই রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের গাইডলাইন অনুযায়ী, ক্লাসিফাইড ফাইলগুলি ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুলবে না। সুতরাং, এই ফাইল নিয়ে কর্মরত কর্মচারীদের অফিসে এসেই কাজ করতে হবে। সাইবার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। করোনা পরবর্তী সময় দেশের অর্থনৈতিক সংকট রুখতে এবং ভবষ্যতেও সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই নয়া পরিকল্পনা। তবে, বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এই চিন্তাভাবনা অনেক সদর্থক। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, খুব তাড়াতাড়ি বিদায় নিচ্ছে না করোনা। ফলে এই মহামারীকে জীবনের অঙ্গ ধরে নিয়েই আপাতত এগিয়ে চলতে হবে। আর তারফলে করোনা পূর্ববর্তী জীবনের থেকে অনেক বদলে যাবে জীবনের গতিপথ। সরকারি কর্মীরা দপ্তরে না গেলে কাজই হয় না, এই ধারণা থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্র সরকার। আগামীদিনে হয়ত কেন্দ্রের দেখানো পথেই হাঁটবে রাজ্য সরকারগুলিও। সবমিলিয়ে, করোনা অবহেও কিছুটা স্বস্তির খবর এল সরকারি কর্মীদের কাছে বলে মনে করছেন সকলে। আপনার মতামত জানান -