এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ভারতে করোনার খারাপ দিন দেখা এখনও বাকি? নভেম্বরের মধ্যেই উড়ে যাবে ঘুম? সামনে নতুন সমীক্ষা

ভারতে করোনার খারাপ দিন দেখা এখনও বাকি? নভেম্বরের মধ্যেই উড়ে যাবে ঘুম? সামনে নতুন সমীক্ষা


দেশজুড়ে করোনার খাবা এতটাই ছড়িয়েছে যে সাধারণ মানুষের মনে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। বলা যায়, করোনার কারণে ভারতবাসীর জীবন এখন অন্য খাতে বইতে বাধ্য হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অবশ্য করোনা সংক্রমণকে আটকানোর জন্য দেশজুড়ে শুরু হয় লকডাউন। তবে সে সময় থেকেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে আসছেন, লকডাউন চললেও পরিস্থিতির বিশেষ কোন উন্নতি হবে না। কারণ লকডাউনে এই সংক্রমণকে কিছুটা রোধ করা যাবে হয়তো, কিন্তু পুরোপুরি এই জীবাণুকে নিষ্ক্রিয় করা যাবে না।

বিশেষজ্ঞদের কথাকে সত্য প্রমাণ করেই বর্তমানে দেশজুড়ে হু হু করে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তবে এবার সাধারণ মানুষের আতঙ্ককে আরো চতুর্গুণ বাড়িয়ে তোলার জন্য বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে করা হয়েছে নতুন দাবী। বর্তমান সমীক্ষায় উঠে এসেছে, এ বছরের শেষে অর্থাৎ নভেম্বর মাসে সবথেকে বেশি করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে দেশে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হবে, যেখানে আইসিইউ এবং ভেন্টিলেটরের সংখ্যা নিয়েও টান দেখা যেতে পারে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, করোনার বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে আইসিএমআর এর পক্ষ থেকেই। এই সমীক্ষার মাধ্যমে যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে বলা হচ্ছে, আগামীদিনে পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হতে চলেছে যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারকে পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হতে পারে। ইতিমধ্যেই লকডাউন এর পঞ্চম পর্ব চলছে দেশজুড়ে। যদিও তার মধ্যে আনলক ওয়ান চালিয়ে দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় আনার চেষ্টা চলছে। কিন্তু তা নিয়ে শুরু হয়েছে বর্তমানে বিতর্ক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কারণ দেখা যাচ্ছে, যেই মুহূর্তে আনলক ওয়ান শুরু হয়েছে তখন থেকেই পরিস্থিতি আবার বিগড়োতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও হু হু করে বেড়ে চলেছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে দেশজুড়ে জনসাস্থ্য পরিকাঠামো যথেষ্ট সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে। যা দিয়ে আপাতত নভেম্বর পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু তারপর কি হবে, তাই নিয়ে থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন। যেভাবে আইসিএমআর এর এই সমীক্ষা সার্বিক জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামোর দিকে অঙ্গুলী হেলষ করে আগামী দিনের পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক বার্তা দিয়েছে, তা কিন্তু যথেষ্ট আশঙ্কার বলে মনে করা হচ্ছে।

এই মুহুর্তে দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। আগামী দিনের পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে তা যে চরম আতঙ্কের জন্ম দেবে সে কথা বলাইবাহুল্য। অন্যদিকে আনলক ওয়ান পর্বে যেভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে ভয়ঙ্করভাবে, তাতে এবার আনলক টু কার্যকর করা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। দেশজুড়ে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন উঠেছে, আবার হয়তো লকডাউন এর মুখেই পড়তে হবে। এই মুহূর্তে দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা 320922 জন। এতদিনে মৃত্যু হয়েছে 9195 জনের।

তবে বিভিন্ন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের আসার কারণেও করোনা সংক্রমণ বেড়ে ওঠার অন্যতম কারণ বলে দাবি করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও করোনা সংক্রমণ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরার ব্যাপারে। তবে যেভাবে দ্রুতগতিতে দেশে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে, তা থেকে বাঁচতে এই মুহূর্তে পরিত্রাহি চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা যেভাবে নভেম্বরের কথা বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন, তা যে দেশের সরকারের চিন্তা আরো বাড়িয়ে দিল সে কথা অনস্বীকার্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!