এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > পাঁচ বছর আগে করোনার হাত থেকে মুক্তি নেই? ভয়ঙ্কর আশঙ্কার কথা শোনালেন WHO-এর প্রধান বিজ্ঞানী

পাঁচ বছর আগে করোনার হাত থেকে মুক্তি নেই? ভয়ঙ্কর আশঙ্কার কথা শোনালেন WHO-এর প্রধান বিজ্ঞানী


করোনা থেকে কবে মানুষ মুক্তি পাবে, এখন তা সব থেকে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে গোটা বিশ্ববাসীর কাছে। কেননা ভয়াবহ এই ভাইরাসকে আটকাতে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনো প্রতিষেধক পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্বের মাটিতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাইরাসের আগমন ঘটেছে। কিন্তু প্রথমদিকে তার প্রতিষেধক আবিষ্কার না হলেও, পরবর্তীতে তার প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়েছে এবং তার মাধ্যমে আটকানো গেছে সেই ভাইরাসকে।

সেক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রেও এমনটা হবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী যে কথা বললেন, তা নিঃসন্দেহে আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে এই এই ভাইরাসকে কেন্দ্র করে। সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌমিয়া সমিনাথান বলেন, “করোনা নিরবিচ্ছিন্ন পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। সারা পৃথিবীতে করোনাকে সঙ্গী করেই আমাদের চলতে হবে। যেভাবে চলছে ডেঙ্গি, এইচআইভি, ম্যালেরিয়া প্রভৃতিকে নিয়ে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি আরও বলেছেন, “40 বছর ধরে এইডসের প্রতিষেধক আবিষ্কারে চেষ্টা চলছে। কিন্তু মানুষ তো শিখে গেছে কিভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। কিভাবে ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে হবে। এভাবেই আমাদের আরও 4-5 বছর করোনাকে সঙ্গী করে চলতে হবে।” তবে আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে এই করোনা ভাইরাস অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। কিন্তু হুঁ এর প্রধান বিজ্ঞানী যেভাবে এই ভাইরাসকে নিয়েই আরও দীর্ঘদিন পথ চলতে হবে বলে জানালেন, তাতে অনেকের মনেই তৈরি হয়েছে আশঙ্কা।

একাংশ বলেছেন, যদি এভাবেই পথ চলতে হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও কত মানুষকে মৃত্যুর মুখে ধাবিত হতে হবে, তা নিশ্চিতভাবে কেউ জানেন না। কেননা এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে প্রায় 40 লক্ষ 42 হাজার 414 জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে মারা গেছেন প্রায় 2 লক্ষ 98 হাজার 332 জন। বর্তমানে এই করোনা ভাইরাসকে আটানোর জন্য একমাত্র সামাজিক দূরত্ব বাধ্যতামূলক হলেও, বিভিন্ন দেশ নিজেদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে স্বাবলম্বী করার জন্য সেই লকডাউন তুলে নিতে শুরু করেছে।

যার পরেই সেই সামাজিক দূরত্ব বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এমন আশঙ্কার বার্তার মধ্যে যদি মানুষ সচেতন না হয় তাহলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এখন এই ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, কিভাবে ভবিষ্যতে করোনাকে আটকাতে পথ চলা হবে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। করোনা যে মোটামুটি জীবনের অঙ্গ হতে চলেছে এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানীর কথাতেই স্পষ্ট হয়ে গেল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!