করোনায় ভারতের জন্য কি আরও দুর্দিন অপেক্ষায়? জল্পনা বাড়ালেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী! জাতীয় May 10, 2020 যত দিন যাচ্ছে, ততই ভারতবর্ষে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যান্য দেশ যখন করোনায় আক্রান্ত বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছিল, তখন তার গুরুত্ব অনুধাবন করে ভারতবর্ষ। যার ফলে আগেভাগেই দেশজুড়ে লকডাউনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। আর এই লকডাউনের ফলে দেশ অনেকটাই করোনা থেকে মুক্ত হবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। বিভিন্ন রাজ্যে বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণের হার। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। কবে বিদায় নেবে করোনা, এখন এই প্রশ্নই সকলের কাছে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকলেই চেষ্টা করছেন করোনা প্রতিষেধক আবিষ্কার করার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। যার ফলে ক্রমশ আতঙ্ক বাড়ছে। আর এমত পরিস্থিতিতে যখন তৃতীয় দফার লকডাউন চলছে এবং বেশ কিছু ক্ষেত্রে গ্রীন জোনে দোকানপাট খুলে দেওয়া শুরু হয়েছে, ঠিক তখনই করোনা নিয়ে ভয়াবহ আশঙ্কার কথা শোনালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষ বর্ধন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, শনিবার উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে একটি বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আর সেখানেই তিনি বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশে যে চরম খারাপ অবস্থা দেখা গিয়েছে, তেমন পরিস্থিতি এখনও দেখেনি ভারত। তবু আমাদের সেই খারাপ অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ভারতের করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ঠিক হয়েছে।” আর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যেই এখন ছড়িয়ে পড়েছে আশঙ্কা। অনেকে বলছেন, যখন প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা প্রত্যেকেই বলছেন আগেভাগে লকডাউনের জন্য ভারতবর্ষ কিছুটা হলেও সুস্থতার দিকে এগোচ্ছে, তখন ভারতকেও খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলে মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তাহলে কি তিনি সন্দেহ করছেন যে ভারতবর্ষে যেদিন আসছে, তা করোনার ক্ষেত্রে অত্যন্ত বিপদজ্জনক? এখন এই প্রশ্নই তুলতে শুরু করেছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বিশ্লেষকরা অনেকে বলছেন, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্থিতাবস্থা রূপ নিয়েছে ভারতবর্ষে। কিন্তু যদি সামাজিক দূরত্বকে না মানা হয়, তাহলে যে পরিস্থিতি আবার বেগতিক হতে পারে, তা বারেবারেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে সেদিকটি তুলে ধরেই এই কথা বলে সকলকে সচেতন থাকার বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তবে যে কারণেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা বলুন না কেন, তার এই বক্তব্য নিয়ে যে নানা মহলে এখন তীব্র সন্দেহ দানা বেঁধেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত সকলেই। আপনার মতামত জানান -