এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > অবশেষে সুখবর কি আসছে? চীনের হাত ধরেই তৈরী হতে চলেছে করোনার ভ্যাকসিন? শুরু জল্পনা

অবশেষে সুখবর কি আসছে? চীনের হাত ধরেই তৈরী হতে চলেছে করোনার ভ্যাকসিন? শুরু জল্পনা

বর্তমানে করোণা নামক ভাইরাস মানুষের কাছে বড় আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এখনও পর্যন্ত এরও কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি‌। যার ফলে এক দেশ থেকে অন্য দেশে খুব সহজেই এটা ছড়িয়ে পড়ছে এবং বিভিন্ন দেশ লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। মানুষের সাথে মানুষের সংস্পর্শ যাতে না হয় এবং এই ভাইরাস যাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, তার জন্যই সাধারণকে করে দেওয়া হয়েছে গৃহবন্দী।

তবে প্রত্যেকেই চেষ্টা করছে, এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রতিষেধক আবিষ্কার করার। বিভিন্ন দেশের তরফে সেই প্রতিষেধক আবিষ্কার করার কাজ চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। প্রতিদিন খবর আসছে, এই দেশ, না হলে ওই দেশ এই ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পাকাপাকিভাবে তেমন কোনো খবর আসেনি। জানা গেছে, চীন থেকেই প্রথমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল।

আর এবার সেই চিন নাকি এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দুই রকমের ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলেছে বলে খবর পাওয়া গেল। সূত্রের খবর, চায়না ডেইলি সংবাদমাধ্যমের অফিশিয়াল ট্যুইটে জানানো হয়েছে যে, খুব তাড়াতাড়ি দুটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক টেস্ট মানুষের ওপরে করা হবে। মূলত বেজিংয়ের সিনোভ্যাক বায়োটেকে একটি ভ্যাকসিন এবং অন্যটি ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপের অধীনস্থ উহান ইন্সটিটিউট অফ বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টের সাহায্য নিয়ে বানানো হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর মানুষের শরীরে পরীক্ষামুলকভাবে তা প্রয়োগ করার পরেই পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, চীনের তৈরি এই দুটি ভ্যাকসিন করোনা প্রতিরোধে কতটা সহযোগিতা করল! বস্তুত, এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে চিনে আক্রান্ত হয়েছে 82 হাজার 107 জন। যেখানে মৃত্যু হয়েছে প্রায় 3 হাজার 341 জনের। আর করোনা ভাইরাসের দাপট বাড়তে থাকায় চীনের পক্ষ থেকে এই দুই ভ্যাকসিন বানানোর কাজ শেষ হয়েছে বলে ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের পক্ষ থেকে দাবি করায় রীতিমত আশার আলো তৈরি হয়েছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে সিংহুয়া ইউনিভার্সিটির গবেষক ঝ্যাং লিঙ্কি বলেন, “প্লাজমা থেরাপির থেকেও উপযোগী আমাদের এই নতুন পদ্ধতি। কারণ প্লাজমা থেরাপির অনেক বিধিনিষেধ আছে। দাতা ও গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ এবং রক্তের আরও নানা পরীক্ষায় পাশ হলে তবেই থেরাপি ডাক্তাররা করতে পারবেন। সেদিক থেকে এই বিভিন্ন অ্যান্টিবডির মিশ্রণ প্রয়োগের কোনো বিধিনিষেধ নেই।”

জানা গেছে, এই অ্যান্টিবডিগুলোকে গবেষণাগারে ইতিমধ্যেই পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে‌। যেখানে এই অ্যান্টিবডিগুলোর ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা আছে বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে এখন চীনের পক্ষ থেকে প্রাণঘাতী মারন ভাইরাসকে আটকাতে দুই ভ্যাকসিন কতটা কাজে লাগে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। করোনার জেরে গোটা বিশ্বব্যাপীই জনজীবন বিপর্যস্ত – তাই যতদিন না এর ওষুধ বা ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হচ্ছে, মানুষের আতঙ্ক যেন কিছুতেই কাটছে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!