এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > শুধু তৃণমূল নয়, বিজেপির র‌্যাডারে এবার হেভিওয়েট বাম বিধায়কও – জানুন বিস্তারিত

শুধু তৃণমূল নয়, বিজেপির র‌্যাডারে এবার হেভিওয়েট বাম বিধায়কও – জানুন বিস্তারিত

বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসাবে উঠে এসেছে গেরুয়া শিবির। তবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেই গেরুয়া শিবির প্রমান করে দিতে মরিয়া রাজ্যে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা দখল করতে চলেছে তারাই। আর সেই উপলক্ষ্যে বাংলা থেকে অর্ধেকের বেশি লোকসভা জয় সুনিশ্চিত করতে চায় রাজ্য বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের তরফে নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক নেতার বক্তব্য, অমিত শাহ রাজ্য বিজেপিকে ২২-২৩ টি আসনের টার্গেট দিলেও, আমাদের টার্গেট অন্তত ৩৬ টি আসন।

কিন্তু, কোন পথে আসবে এত আসন? কেননা, বিরোধীদের স্পষ্ট অভিযোগ নির্বাচন করানোর মত কোনো সংগঠনই নেই বিজেপির। রাজ্য বিজেপির ওই নেতার কথায়, সংগঠন যে একদম তৈরী হয় নি তা নয়। তবে অবশ্যই, সংগঠন একটা বড় সমস্যা সে কথা আমাদের অন্তর্বর্তী আলোচনাতে উঠে এসেছে বারবার। এমনকি এই সমস্যার কথা জানেন স্বয়ং অমিত শাহও। তবে দক্ষিণপন্থী দলের নির্বাচন জিততে সংগঠন সব সময় যে দরকার হয় তা কিন্তু নয়। ২০০৯ সালে যখন তৃণমূল লোকসভাতে ওই রকম মারকাটারি ফল করে – তখন তৃণমূলের সংগঠন কি ছিল?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ওই নেতার কথায়, তবে সংগঠন নির্বাচনের আগে যতটা সম্ভব মজবুত করা যায় সেদিকে আমাদের লক্ষ্য আছে। আর তাই, তৃণমূল কংগ্রেস তো বটেই বামফ্রন্ট বা কংগ্রেসের অনেক হেভিওয়েট নেতা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা তা সদর্থকভাবেই নিচ্ছি। কেননা ওই হেভিওয়েট নেতারা বিজেপিতে যোগ দিলে তাঁদের অনুগামীরাও যোগ দেবেন। আর সেক্ষেত্রে সব থেকে বড় কথা, গেরুয়া শিবিরের সংগঠন মজবুত হবে। তিনি আরও দাবি করেন, বাংলায় বর্তমানে শাসকদল বিরোধী হাওয়া প্রবলভাবে বইছে। সুতরাং, মানুষ শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে মুখিয়ে আছে – কিন্তু, সেই ভোটকে গেরুয়া শিবিরের বাক্সে টেনে আনার জন্যই এই সংগঠনের প্রয়োজন।

কিন্তু, কোন শিবিরের কোন নেতা টার্গেটে আছে তা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ ওই নেতা। এদিকে মালদার হাবিবপুরের সিপিএম বিধায়ক খগেন মুর্মুর নাম প্রবলভাবে ভেসে উঠল গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার জন্য। হাবিবপুরের তিনবারের বিধায়ক নিজের মুখেই সেকথা জানিয়েছেন। খগেনবাবু বলেন, প্রস্তাব পেয়েছি – কিন্তু, আমি কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। আমি যে সিপিএম ছাড়ব, এই সিদ্ধান্তই নিইনি। দল পরিবর্তন তো তারপর! বিধানসভায় দিলীপ ঘোষের সঙ্গে আমার কথা হয়। বিধায়ক থাকার সুবাদে কথা হওয়াটা একেবারেই স্বাভাবিক ঘটনা। এখন তা নিয়ে যদি কেউ রটনা করে, তাহলে আমার বলার কিছু থাকতে পারে না! তবে নিজের মুখেই এই বিজেপি যোগের কথা তোলায় লোকসভা নির্বাচনের আগে চূড়ান্ত জল্পনা শুরু রাজ্য-রাজনীতিতে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!