এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর হাত ধরে কি এবার আরেক হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদ বিজেপিতে? শুরু তীব্র রাজনৈতিক জল্পনা!

শুভেন্দুর হাত ধরে কি এবার আরেক হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদ বিজেপিতে? শুরু তীব্র রাজনৈতিক জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অধিকারী পরিবারের মেজো ছেলে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকেই তার পরিবার নিয়ে তাকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে তৃণমূলের হেভিওয়েট শীর্ষ নেতারা। প্রকাশ্য সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “লজ্জা করে না! এক বাড়িতে দুজন তৃণমূলের লোক থাকা সত্ত্বেও বিজেপি করতে লজ্জা করে না!”

আর এরপরই শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, “রামনবমী আসলে আমার বাড়িতেও পদ্ম ফুটবে।” বর্তমানে শুভেন্দুবাবু এবং তার আরেক সৌমেন্দুবাবু বিজেপিতে যোগ দিলেও শিশির অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসেই রয়েছেন। একইভাবে শুভেন্দু অধিকারীর আরেক ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। তবে তাদের দলের কোনো কর্মসূচিতে সেভাবে উপস্থিত থাকতে দেখা যাচ্ছে না।

আর এই পরিস্থিতিতে জল্পনা বাড়িয়ে সেই তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে হলদিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সভায় আমন্ত্রণ জানানো হল। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার দিব্যেন্দু অধিকারীর বিজেপি যোগের জল্পনা ক্রমশ জোরালো হয়ে উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, আগামী 7 ফেব্রুয়ারি রবিবার রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেখানে হলদিয়ায় একাধিক প্রকল্পের সূচনা করার কথা রয়েছে তার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেই কর্মসূচি প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের তরফ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে। স্বাভাবিক ভাবেই হঠাৎ করেই তৃণমূল সাংসদকে কেন এভাবে চিঠি পাঠানো হল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। অনেকে বলছেন, জল্পনা আরও বাড়তে শুরু করেছে, কারণ দিব্যেন্দু অধিকারি সম্পর্কে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই। শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী তৃণমূলের কোনো কর্মসূচিতে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে এমনিতেই জল্পনা তৈরি হয়েছে।

তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সভায় এভাবে তৃণমূল সাংসদকে আমন্ত্রণ নয়া সমীকরণের সৃষ্টি করল বলেই মনে করছেন একাংশ। বিশেষজ্ঞদের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী যখন তৃণমূলের অন্যান্য নেতাকর্মীদের ভাঙাতে শুরু করেছেন, তখন তার পরিবারের তৃণমূলে থাকা সদস্যরা যে বিজেপিতে যোগ দেবেন না, এই ব্যাপারটি মানতে নারাজ কোনো পক্ষই। আর তাই তো শিশির অধিকারী জেলা তৃণমূল সভাপতি থাকা সত্ত্বেও, তাকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে নতুন চেয়ারম্যান করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

অর্থাৎ অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দেওয়া হয়েছে। একইভাবে আর এক তৃনমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীকে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও দলের কোনো কর্মসূচিতে উপস্থিত হতে দেখা যাচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই তাদের বিজেপি যোগের জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল। তবে এখনও পর্যন্ত নীরবতা পালন করছেন তারা। আর এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর সভায় হলদিয়া তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ তার বিজেপি যোগের জল্পনাকে আরও বাড়িয়ে দিল বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে বলছেন, আজ হোক বা কাল, শুভেন্দু অধিকারীর পরিবারের বাকি তৃণমূলে থাকা সদস্যরা বিজেপিতে যোগ দিতেন। আর প্রধানমন্ত্রী সভায় যদি দিব্যেন্দু অধিকারী যোগ দেন, তাহলে আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, তাদের বিজেপির ঝান্ডা ধরা শুধু সময়ের অপেক্ষা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তমলুকে তৃণমূল সাংসদ প্রধানমন্ত্রীর সভায় আমন্ত্রণ পাওয়ার পর সেখানে উপস্থিত হন কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!