এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপি রাজ্য সভাপতি কি বদল হচ্ছেই? তীব্র জল্পনা গেরুয়া শিবিরের অন্দরে!

বিজেপি রাজ্য সভাপতি কি বদল হচ্ছেই? তীব্র জল্পনা গেরুয়া শিবিরের অন্দরে!

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – বাংলায় তৃণমূলের ঘুম উড়িয়ে লোকসভা নির্বাচনে ১৮ টি আসন ছিনিয়ে নিয়ে এবার ‘পরিবর্তনের পরিবর্তন’ করার জন্য তাল ঠুকছে রাজ্য বিজেপি। আর গেরুয়া সমর্থকদের মতে, বিজেপির এই সাফল্যের একটা বড় অবদান রয়েছে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। সঙ্ঘের ‘ঘরের ছেলে’ দিলীপ ঘোষ বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব নেওয়ার পরেই, বিজেপির রথের চাকা ঘুরতে শুরু করেছে। যার প্রাথমিক ফলাফল হিসাবে ২০১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে প্রবল মমতা হাওয়ার মাঝেও তিনজন বিধায়ক পায় বিজেপি।

তার আগেই অবশ্য ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপি বাংলা থেকে ২ টি লোকসভা আসন পায়, যদিও তার কৃতিত্ব রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বঙ্গ-বিজেপির নেতাদের থেকেও বেশি করে দেন মোদী-হাওয়াকে। যাইহোক, ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের পরে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়, আর তারপর থেকেই বিভিন্ন উপনির্বাচনে ইঙ্গিত মিলতে থাকে এই রাজ্যে দ্রুত প্রধান বিরোধী দলের জায়গাটা দখল করতে চলেছে বিজেপি। আর তারপর গত বছরে হয়ে যাওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই পাকাপাকিভাবে রাজ্যের প্রধান বিরোধী জায়গাটা ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু, এত সব সত্ত্বেও বিজেপির অন্দরে জল্পনা ছড়িয়েছে যে এবার রাজ্য সভাপতির পদ হারাতে চলেছেন দিলীপবাবু। তবে তার জেনে মোটেই তাঁর ‘পারফরম্যান্স’ দায়ী নয়। কেননা রাজ্য সভাপতি হিসাবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি নিজে বিধায়ক হয়েছেন, আবার লোকসভা নির্বাচনেও জিতে সাংসদ হয়েছেন। তাঁর আমলেই, বিধানসভা নির্বাচন-উপনির্বাচন মিলিয়ে ৭ জন সরকারিভাবে বিধায়ক পেয়েছে বিজেপি, পেয়েছে ১৮ জন সাংসদ। কিন্তু তাহলে দিলীপবাবুকে সরানোর কথা উঠছে কেন? খোঁজ নিয়ে জানা গেল, পুরো ব্যাপারটাই ‘ট্যাকটিক্যাল ও টেকনিক্যাল’।

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এবারে লোকসভা নির্বাচনে জিতে কেন্দ্রে মন্ত্রী হয়েছেন। বিজেপি যেহেতু ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতিতে বিশ্বাস করে, তাই অমিত শাহ এবার সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে সরে যেতে চলেছেন। ফলে জুন মাসের শেষের দিকে নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি পাবে বিজেপি। আর নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি পেলেই, রাজ্য, জেলা ও মন্ডল কমিটি ভেঙে সেখানে নতুন পদাধিকারী আসবে। এদিকে, বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো রাজ্য সভাপতি দুটি টার্ম বা ৬ বছর (যে কোন একটি) পদে থাকতে পারেন। দিলীপবাবুর প্রথম টার্মটি শেষ হয় গত ডিসেম্বর মাসে।

এদিকে, লোকসভা নির্বাচন শিওরে চলে আসায় সেই মুহূর্তে কোনো সাংগঠনিক পরিবর্তন করে নি বিজেপি। ফলে, দিলীপবাবু রাজ্য সভাপতি হিসাবে দ্বিতীয় টার্ম পেয়ে যান। যদিও সেই দ্বিতীয় টার্মের মেয়াদ সবে ৬ মাস পেরিয়েছে, কিন্তু তিনি ইতিমধ্যেই দুটি টার্ম পেয়ে যাওয়াই নতুন কমিটি হলে – টেকনিক্যালি তা তৃতীয় টার্ম হয়ে যাবে। যা করতে গেলে, বদলাতে হবে বিজেপির গঠনতন্ত্র। আর তাই, গেরুয়া শিবিরের অন্দরে জল্পনা ছড়িয়েছে, যে শুধুমাত্র নিয়মের জাঁতাকলে পরেই এবার পদ হারাতে হতে পারে দিলীপবাবুকে। তবে, যদি তা হয়ও তাঁর আমলে বিজেপির এই সাফল্য ভুলতে পারবেন না কোনো গেরুয়া সমর্থকই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!