আজই কি বদলে যাবে বদলে যাবে পঞ্চায়েতের সুরক্ষার সমীকরণ? আশায় ভোটকর্মীরা বিশেষ খবর রাজ্য April 27, 2018 গতকালই রাজ্য সরকারের তরফে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ফ্যাক্সবার্তায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট একদফায় করতে চায় নবান্ন। আর তাই রাজ্যের ৫৮ হাজারেরও বেশি বুথে একজন করে পুলিশ দিয়ে হবে সেই নির্বাচন। কিন্তু সূত্রের খবর, রাজ্যের হাতে নাকি নেই সেই সংখ্যক পুলিশকর্মী, ফলে অন্তত ১০-১২ হাজার বুথে ভোটগ্রহণ হতে পারে হোমগার্ড বা সিভিক ভলান্টিয়ারের ভরসায়। ফলে ভোট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী সরকারি কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ, আশঙ্কার দোলাচলে সবাই। এই পরিস্থিতিতে আজ কলকাতা হাইকোর্টে করা একটি জনস্বার্থ মামলার দিকে চোখ সমগ্র রাজ্যবাসীর। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রাজ্য পুলিশের তত্বাবধানে পঞ্চায়েত নির্বাচন করা কার্যত অসম্ভব এই যুক্তিতে দীর্ঘদিন লড়াই করছেন বিজেপি প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিস শীল। এর আগে তিনি একই দাবিতে নির্বাচন কমিশনেও যান, কিন্তু সেখানে কোনো সুরাহা না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের এজলাসে গত শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে দেবাশিসবাবু জানান পশ্চিমবঙ্গে যেকোন বিধানসভা বা লোকসভা ভোট হয় কেন্দ্রিয়বাহিনীর তত্বাবধানে। কিন্তু পঞ্চায়েত বা পুরভোটে রাজনৈতিক হানাহানির বা উত্তেজনার ঘটনা অনেক বেশি ঘটলেও তা করা হয় রাজ্য পুলিশের তত্বাবধানে। ফলে ভোটকর্মীরা বা তাঁদের পরিবার ভীত, সন্ত্রস্ত। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ইতিমধ্যেই বর্ধমানে ফার্স্ট পোলিং অফিসার দেবাশীষ মুখার্জীর উপর বিরোধী প্রার্থী ভেবে নেমে এসেছে রাজনৈতিক আক্রমন, তাছাড়া সমগ্র মনোনয়ন পর্বে রাজ্যের যে চিত্র বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তাতে নির্বাচনের কাজে অংশগ্রহণ করতে চলা সরকারি কর্মীরা আতঙ্কিত, তাই আদালত যেন সবদিক বিবেচনা করে পঞ্চায়েতের সুরক্ষার দায়িত্ত্ব কেন্দ্রিয়বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। দেবাশিসবাবুর দীর্ঘ সওয়ালে সহমত পোষন করেন প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য ও ওপর বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেদিন ওই মামলার শুনানিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব বা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে কেউ উপস্থিত না থাকায় তাঁরা কোনো রায়দান করেননি। তাঁরা দেবাশীবাবুকে পুনরায় রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ দেন। আজ সেই মামলার পরবর্তী শুনানি, আর তাই আপাতত সেই মামলার দিকেই চোখ সমগ্র রাজ্যবাসীর। আপনার মতামত জানান -