এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যের প্রাক্তন এই হেভিওয়েট মন্ত্রী কি এবার শাসকদলের টিকিটে লোকসভায় লড়বেন? জল্পনা চরমে

রাজ্যের প্রাক্তন এই হেভিওয়েট মন্ত্রী কি এবার শাসকদলের টিকিটে লোকসভায় লড়বেন? জল্পনা চরমে

লোকসভা নির্বাচনের এখনো মাস ছয়েক বাকি থাকলেও বাংলায় কিন্তু তা নিয়ে এখন থেকেই পারদ চড়তে শুরু করে দিয়েছে। একদিকে যখন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাক দিয়েছেন কেন্দ্র থেকে ‘জনবিরোধী’ নরেন্দ্র মোদী সরকারকে সরাতে তাঁর হাতে বাংলার মানুষ ৪২ টি লোকসভা আসনই তুলে দিক – অন্যদিকে, তখন গেরুয়া শিবির থেকে পাল্টা হুঙ্কার দিয়ে বলা হয়েছে রাজ্যে পরিবর্তনের পরিবর্তন করতে এই লোকসভায় অন্তত ২২ টি আসন চাই ই চাই।

এই পরিস্থিতিতে, রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস বা বিরোধী দল বিজেপির হয়ে কোন লোকসভা কেন্দ্রে কে টিকিট পেতে পারেন। সবথেকে বড় কথা, গতবার ৪২ টির মধ্যে ৩৪ টি আসন জিতলেও – রাজনৈতিক মহলের ধারণা তৃণমূল নেত্রী এবারে গতবারের বিজয়ী সকল সাংসদকে টিকিট নাও দিতে পারেন। বিশেষ করে, যাঁদের নিয়ে বিতর্ক হয়েছে বা যাঁদের কাজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুশি নন বলে প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন – তাঁদের নিয়েই জল্পনা তীব্র হয়েছে।

এরই মধ্যে, রাজ্য-রাজনীতিতে হঠাৎ করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট পেতে পারেন রাজ্যের প্রাক্তন হেভিওয়েট মন্ত্রী মদন মিত্র। এমনিতে মদনবাবু দলনেত্রীর খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন – কিন্তু সিবিআইয়ের জেরার মুখে পরে, তাঁকে জেলে যেতে হয়। কিন্তু, জেলে থাকা অবস্থাতেই তাঁকে আবার কামারহাটি থেকে গত বিধানসভায় টিকিট দেন তৃণমূল-নেত্রী। জেলে থেকে প্রচার করতে না পারলেও, দারুন লড়াই দেন তিনি – কিন্তু, শেষরক্ষা হয় না। সিপিএমের মানস মুখার্জির কাছে হেরে যেতে হয় তাঁকে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এরপরেই, দলের সঙ্গে দূরত্ত্ব বাড়তে থাকে তাঁর। এমনকি এক সময় দলীয় প্রচারেও ডাকা হত না বলে – অভিমান করে নিজেকে ‘লাস্ট বয়’ বলেছিলেন। কিন্তু, মুকুল রায় দল ছাড়ার পরেই বদলাতে থাকে সমীকরণ – দলনেত্রী নিজে তাঁকে তাপসিয়ায় তৃণমূল ভবনে নিয়মিত বসার নির্দেশ দেন। শাসকদলের বিভিন্ন সভাতেও তিনি বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। আর এবার, যেহেতু রাজনৈতিক মহলের ধারণা ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে কঠিন লড়াই হবে – তাই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে যে, সেই কঠিন লড়াইয়ে দলের পুরোনো অনুগত সৈনিক মদন মিত্রের উপরে ভরসা করতে পারেন দলনেত্রী।

তবে, কোন আসন থেকে মদনবাবু টিকিট পেতে পারেন – সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায় নি। তবে বেশ কিছু আসনে তাঁর নাম শোনা যাচ্ছে। তবে, এই ব্যাপারে না মদন মিত্র নিজে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্ত্ব – কেউই সরকারিভাবে কিছু জানান নি। ফলে, সমগ্র বিষয়টি এখনো জল্পনার স্তরেই আছে। তবে, লোকসভা নির্বাচনে কাকে কোথায় প্রার্থী করা হবে সেই বিষয়ে শেষ কথা বলবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই দলনেত্রী, এই বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেন সেদিকেই তাকিয়ে আছে সমগ্র রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!