এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মানবিকভাবে নয় কড়া মনোভাবে এবার পার্শ্বশিক্ষকদের অনশন ভাঙতে মরিয়া সরকার? শিক্ষামহলে ক্ষোভ!

মানবিকভাবে নয় কড়া মনোভাবে এবার পার্শ্বশিক্ষকদের অনশন ভাঙতে মরিয়া সরকার? শিক্ষামহলে ক্ষোভ!


নিজেদের বেতন কাঠামো নিয়ে গত 11 নভেম্বর থেকে কলকাতার রাজপথে আন্দোলনে বসেছেন রাজ্যের পার্শ্ব শিক্ষক শিক্ষিকারা। ইতিমধ্যেই সেই আন্দোলন চরম আকার ধারণ করেছে। আন্দোলনের পাশাপাশি শুরু হয়েছে অনশন পর্বও। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকারা অসুস্থ হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে একজনের। আর এই পরিস্থিতিতে যখন বিরোধী দলের নেতা নেত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংগঠনের তরফ সেই অনশন মঞ্চে এসে তাদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হচ্ছে, ঠিক তখনই সরকারের মুখে শোনা গেল এক ভিন্ন কথা।

এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে বার্তা দেওয়া তো দূর অস্ত, উল্টে অনশন আন্দোলনের নামে পড়াশুনায় কোনভাবেই ব্যাঘাত ঘটানো যাবে না বলে এবার সেই সমস্ত আন্দোলনকারীদের সতর্ক করে দিল রাজ্য সরকার। জানা গেছে, বর্তমানে পার্শ্ব শিক্ষকদের এই অনশন 25 দিনে পড়েছে। তাদের মূল দাবি সরকারকে বেতন কাঠামো ঘোষণা করতে হবে। কিন্তু এই ব্যাপারে কেন নীরব রাজ্য সরকার!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কেন্দ্র থেকে আমরা 17 হাজার কোটি টাকা পাই। বেতন-ভাতা খাতে কোনো টাকা আসে না। যে বোদ্ধারা গিয়ে ভাষণ দিচ্ছেন, তাঁরা আদালতে গিয়ে বলুন। আদালত কি স্কুলে যেতে না বলেছে! সরকার যথেষ্ট সহ্য করেছে। আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলতে দেব না। আপনারা আন্দোলন এবং অনশন করে নিজেদের আর অসুস্থ করবেন না। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটাবেন না। সমাধান সূত্র বের করতে গেলে যে আর্থিক ভিত্তি দরকার, সব সময় তা থাকে না।”

আর পার্শ্বশিক্ষক- শিক্ষিকাদের এই আন্দোলনের প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর বার্তা থেকেই স্পষ্ট যে, এবার রাজ্য সরকার হয়ত বা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে। কিন্তু কি হবে সেই পদক্ষেপ? ইতিমধ্যে সেই ব্যাপারে কিছু না জানা গেলেও এদিন এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, “বামফ্রন্ট চলে যাওয়ার সময় নির্দিষ্ট প্রকল্পে পার্শ্ব শিক্ষকদের নিয়োগ করেছিল। তখন পদ্মের পাপড়ি ফোটেনি। আমরা কেন সমালোচিত হব! ওরা ধরেই নিয়েছে ধরনায় বসবে। আর কিছু টাকা বাড়াব। এটা তো কারখানা নয়। এটা নাগরিক তৈরি করার কাঠামো। একটা মিথ্যে নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিরোধী দলের নেতা নেত্রী থেকে শুরু করে অন্যান্য সংগঠন যখন এই পার্শ্বশিক্ষকদের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছে, ঠিক তখনই তাদের এই আন্দোলনকে মান্যতা দিতে চাইছে না রাজ্য সরকার। এদিন শিক্ষামন্ত্রীর মুখ থেকে প্রকাশিত কথায় তা আরও স্পষ্ট হয়ে গেল। কিন্তু, পার্শ্বশিক্ষকদের অনশনকে মানবিকভাবে না দেখে এইভাবে কড়া পদক্ষেপের কথা শোনানোর ফলে ইতিমধ্যেই শিক্ষামহলে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার করল রাজ্য সরকার। এখন ভবিষ্যতে গোটা পরিস্থিতি ঠিক কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!