করোনা থেকে বাঁচাবে ভারতই – ক্রমশ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে গোটা বিশ্ব! অন্যান্য জাতীয় বিশেষ খবর শরীর-স্বাস্থ্য April 30, 2020July 26, 2021 হঠাৎ এক ভয়াবহ ভাইরাসের উৎপাত শুরু হয়েছে গোটা বিশ্বজুড়ে। করোনা নামক সেই ভাইরাস এখন তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। ভারতবর্ষও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে এই ভাইরাসকে নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার আরও সব থেকে বড় কারণ যে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। তবে প্রতিটি দেশ চেষ্টা করছে এর প্রতিষেধক আবিষ্কার করার। আর সেই চেষ্টাতে ভারতই হয়ে উঠবে আবারো বিশ্বের ত্রাতা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা এতদিন বিশ্বকে বিভিন্ন সময়ে অতিমারীর সময় পথ দেখিয়েছিল ভারতই। ফলে করোনা ভাইরাসের এই সংকটকালে ভারত গোটা বিশ্বকে প্রতিষেধক আবিষ্কার করে পথ দেখাতে পারে কিনা, তার দিকে নজর ছিল গোটা ভারতবাসীর। আর এবার করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক কি ভারতবর্ষেই পাওয়া যাবে! এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে সর্বত্র। সূত্রের খবর, ভারতের 6 টি বড় সংস্থা বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক বের করবার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম হল সিরাম ইনস্টিটিউট। এদিন এই কোম্পানির সিইও এ পুনাওয়ালা বলেন, “এখন মার্কিন সংস্থা কোডাজেনিক্সের সঙ্গে মিলে এমন প্রতিষেধক তৈরিতে চেষ্টা করছেন, যা এই ভাইরাসকে মারবে না। কিন্তু তার ক্ষতি করার ক্ষমতা নষ্ট করে দেবে। এপ্রিলে প্রানীর উপরে এবং সেপ্টেম্বর মাসে মানবদেহে এর পরীক্ষা শুরু হবে।” আর যদি এই প্রতিষেধকে কোনোরূপ সাফল্য পাওয়া যায়, তাহলে ভারতবর্ষ গোটা বিশ্বকে করোনা প্রতিষেধক আবিষ্কার করে পথ দেখাতে পারবে বলে আশা করছেন অনেকেই। জানা গেছে, 53 বছর পুরনো সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউটে প্রায় 7 হাজার কর্মী এই প্রতিষেধক সবথেকে বেশি তৈরি করেন এবং বিক্রি করেন। পুনে, নেদারল্যান্ড এবং চেক প্রজাতন্ত্রে তাদের কারখানা রয়েছে বলে খবর। এদিন এই প্রসঙ্গে এ পুনাওয়ালা বলেন, “অতিরিক্ত 40 থেকে 50 কোটির ডোজ তৈরীর ক্ষমতা রয়েছে আমাদের। সমান্তরালভাবে হায়দ্রাবাদের ভারত বায়োটেক লড়ে যাচ্ছে।” তবে গোটা ব্যাপারটি যদি সাফল্য পায়, তাহলে সত্যিই করোনা প্রতিষেধক আবিষ্কার করে ভারতবর্ষ গোটা বিশ্বে নজির গড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহের দিক থেকে ভারতের কোম্পানিগুলিই এগিয়ে। এইসব কোম্পানিগুলির অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখেই, ভারতের উপরেই আস্থা রাখছে গোটা বিশ্ব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলেও, তা সমগ্র বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়া এক বিশাল কর্মযজ্ঞের ব্যাপার। কিন্তু, ভারতের এই কোম্পানিগুলির অভিজ্ঞতা ও লোকবল দিয়ে তা সহজেই করা সম্ভব হবে। তাই বলায় যাই, করোনার এই মহাযুদ্ধে জয়ী হতে ভারতের উপরেই বহুলাংশে নির্ভরশীল বিশ্ববাসী। এখন পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -