ভারতেই কি আবিষ্কৃত হতে চলেছে করোনার টিকা? নতুন দাবি ঘিরে বাড়ছে আশার আলো জাতীয় বিনোদন April 6, 2020 করোনা ভাইরাস এমন একটি ভাইরাস, যার কোনো প্রতিষেধক এখনও পর্যন্ত উৎপন্ন হয়নি। যার ফলে দিনকে দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু প্রতিষেধক কার্যত অমিল। আর এই ভাইরাসের ওষুধ ঠিকমত পাওয়া না যাওয়ায় রীতিমতো চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্ববাসীর কাছে। প্রত্যেকটা দেশ চেষ্টা করছে, কিভাবে একে মোকাবিলা করা যায়। আর এবার ভারতবর্ষের গবেষকরাও সেই করোনা ভাইরাস মোকাবিলার জন্য তাদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। যার ফলে আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন সকলে। জানা গেছে, ভারত বায়টেকসকে দেশের মধ্যে এক নম্বর টিকার সংস্থা হিসেবে মনে করেন সকলে। আর এই সংস্থাই এখন করোনা ভাইরাসকে মোকাবিলার জন্য একটি টিকা বের করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। আর যদি এই টিকা কার্যকর হয়, তাহলে করোনা ভাইরাসকে মোকাবিলা করার কোনো চিন্তার বিষয় থাকবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব থেকে বড় কথা যে সংস্থা এই টিকা তৈরি দায়িত্ব নিয়েছে, সেই সংস্থা অত্যন্ত অভিজ্ঞ সংস্থা। যার ফলে তাদের ওপর আশা বাড়ছে সকলের। ইতিমধ্যেই তারা ষোলটি টিকার পেটেন্ট তৈরি করেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাই যদি তারা এই প্রতিষেধক না বেরোনো করোনা রোগের টিকার সদোপযুক্ত ব্যবহার বাতলে দিতে পারে, তাহলে ভারত গোটা বিশ্বকে পথ দেখাবে। এদিন এই প্রসঙ্গে হায়দ্রাবাদের ভারত বায়টেকসের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান রাচেস এলা বলেন, “আমরা এই টিকা তৈরি করে তার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করব। তারপর তৈরি হবে প্রায় 30 কোটি টিকা। যা বিলি হবে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায়।” আর গোটা বিশ্বে সমাদৃত এই সংস্থার এই নতুন দাবি ঘিরে আশার আলো দেখতে শুরু করেছে দেশের চিকিৎসা মহল। কেননা লকডাউন বা মানুষকে গৃহবন্দী করে এই ভাইরাসকে কিছুদিন ঠেকিয়ে রাখা যায় – কিন্তু, তা কিছুতেই দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হতে পারে না। তা ছাড়াও দীর্ঘদিন লকডাউনের ফলে ধ্বসে যেতে পারে অর্থনীতি। ফলে, এর ওষুধ বা ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত না হলে কিছুতেই এই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে রেহাই নেই। সব মিলিয়ে এখন ভারত বায়োটেকসের করোনা মোকাবিলায় টিকা তৈরির উদ্যোগ কতটা সাফল্য পায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। তবে, বিশেষজ্ঞরা আশা প্রকাশ করছেন বিশ্বজুড়ে এই মহামারীকে রুখে দিতে পথ দেখাবে ভারতই। আপনার মতামত জানান -