জল্পনা-কল্পনার অবসান করে আজই কি কুমারস্বামীর ভাগ্যে সিলমোহর? কর্নাটকে বাড়ছে রাজনৈতিক নাটক জাতীয় July 23, 2019 জমজমাট দক্ষিণ ভারতের রাজনীতি – গতবছর হওয়া কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল হয়েও সরকার গড়তে পারে নি বিজেপি। ‘থার্ড বয়’ জেডিএসকে পিছন থেকে সমর্থন করে সরকার গঠন করে কংগ্রেস। কিন্তু, জোটের রাশ হাতে রাখা নিয়ে দুই শিবিরের নেতাদের মধ্যে শুরু হয় চূড়ান্ত দ্বন্দ্ব। যাকে কাজে লাগিয়ে লোকসভা নির্বাচনে কার্যত কর্নাটকে ‘হোয়াইট ওয়াশ’ করে ছাড়ে বিজেপি। আর এরফলেই জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কিত হয়ে পদত্যাগ করেন ১৩ জন কংগ্রেস ও ৩ জন জেডিএস বিধায়ক। এমনকি জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন দুই নির্দল ও একমাত্র বিএসপি বিধায়কও। ফলে, ২২৫ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় সংখ্যালঘু হয়ে পরে কুমারস্বামীর সরকার। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর নিজেদের জোটের বিধায়কদের বিদ্রোহের পিছনে বিজেপির হাত দেখতে থাকে তারা। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে পিছু হঠে আস্থাভোটে অবতীর্ন হতে বাধ্য হয় জোট সরকার। কিন্তু, যখন স্পষ্ট কোনো অঙ্কেই সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমান করা যাবে না, তখন দীর্ঘ বক্তৃতা দিয়ে সময় নষ্টের খেলা শুরু করেন কংগ্রেস ও জেডিএসের বিধায়করা। ফলে, বারবার পিছিয়ে যায় আস্থা ভোট – আর এর পিছনে স্পিকারের মদত আছে বলে অভিযোগ ওঠে বিজেপির তরফে। অবশেষে, গতকাল আস্থাভোটের জন্য সব কিছু নির্ধারিত হয়ে গেলেও, নিজেদের বক্তৃতা দিয়ে মধ্যরাত পার করে দেন জোটের বিধায়করা। ফলে, গতকালের জন্য বিধানসভা মুলতুবি করে দেন কর্ণাটকের স্পিকার। কিন্তু, তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আস্থাভোটে নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে, আজ সন্ধ্যে ৬ টার মধ্যে কুমারস্বামী সরকারকে আস্থাভোটে করতেই হবে। ২২৫ আসন বিশিষ্ট কর্ণাটক বিধানসভায় বিরোধী বিজেপি জোটের হাতে ছিল ১০৭ জন বিধায়ক, অন্যদিকে স্পিকারকে বাদ দিয়ে জোটের হাতে ছিল ১১৭ জন বিধায়কের সমর্থন। কিন্তু ৩ বিধায়ক বিজেপি জোটের দিকে চলে আসায় ও ১৬ বিধায়ক পদত্যাগ করায়, বর্তমানে কর্নাটকে বিরোধীদের হাতে রয়েছে ১১০ জন বিধায়কের সমর্থন। অন্যদিকে, সরকার পক্ষে রয়েছে, ৯৮ জন বিধায়কের সমর্থন। ফলে, আস্থাভোটে কুমারস্বামী সরকারের হার একপ্রকার নিশ্চিত বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -