এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > জমজমাট রাজনীতি- বাড়ছে অমিত শাহের চাপ! মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা কি এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা?

জমজমাট রাজনীতি- বাড়ছে অমিত শাহের চাপ! মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা কি এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা?


গোটা দেশ যখন করোনার বিরুদ্ধে লড়ছে – তখন ভারতের রাজনীতি কিন্তু থেমে নেই। যদিও মনে করা হচ্ছিল এই কঠিন পরিস্থিতিতে সবাই রাজনীতি ভুলে, করোনার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে বাঁচাতে এক হবেন। কিন্তু, দেখা যাচ্ছে ৪ টে লকডাউন পেরিয়েও যখন করোনা সংক্রমনে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমার কোনো লক্ষণ নেই – তেমনই রাজনীতিও থেমে থাকার কোনো ইঙ্গিত নেই। এতদিন তবু রাজনীতি চলছিল একটু আড়াল-আবডাল রেখে, কিন্তু আনলক-১ শুরু হতেই তা যেন একদম সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ল জনমানসে।

সবথেকে বড় কথা, এতদিন রাজনীতি চলছিল শাসক বনাম বিরোধী শিবিরের মধ্যে। কিন্তু এবার বড়সড় রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ইঙ্গিত শাসকদলের অন্দরেই! পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে এবার হয়ত খুব তাড়াতাড়ি মুখ্যমন্ত্রীত্ব খোয়াতে হতে পারে দেশের এই হেভিওয়েট রাজনীতিবিদকে! হেঁয়ালি হয়ে যাচ্ছে? তাহলে আসা যাক মূল কথায়। এখানে কথা হচ্ছে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির। আর যাঁর কপাল পুড়তে পারে বলে জল্পনা – তিনি হলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা।

তাঁর নেতৃত্বেই দক্ষিণ ভারতে সর্বপ্রথম কোনো রাজ্যে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। কিন্তু, তাঁর ৫ বছরের মুখ্যমন্ত্রীত্বে একাধিক বড়বড় কেলেঙ্কারিতে তাঁর নাম জড়িয়ে যায়। ফলে, পরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে, বিজেপি চেয়েছিল তিনি মুখ্যমন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দিন – ফলে কোনো স্বচ্ছ মুখ সামনে এনে লড়তে পারবে দল। কিন্তু কর্ণাটকে বিজেপি কার্যত তাঁর হাত ধরেই তৈরী – ফলে মাথা নোয়াতে রাজি হন নি তিনি। বিজেপি ছেড়ে সরাসরি খুলে ফেলেন নিজের দল – তাতে বিশেষ কিছু সুবিধা করতে পারেননি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু বিজেপির ভোট কেটে কর্ণাটকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে দেন কংগ্রেসকে। আর তারপরেই তিনি বিজেপি – দুতরফেই বুঝতে অসুবিধা হয় না, একে অপরের পরিপূরক না হলে কর্ণাটক দখলে রাখা যাবে না। ফলে, আবারো তিনি ফিরে আসেন বিজেপিতে। অনেক নাটকীয় পট পরিবর্তনের ফিরে পান কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীত্ব। কিন্তু, নতুন করে আবারো শুরু হয়েছে বিবাদ। আর তার কেন্দ্রীয় চরিত্র হচ্ছেন বিএল সন্তোষ, বিজেপির সর্বভারতীয় সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক বলে জল্পনা দক্ষিণের রাজনীতিতে।

বিএল সন্তোষ একদিকে যেমন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ, অন্যদিকে তিনি সরাসরি সঙ্ঘ থেকে আসা লোক। কর্ণাটকের রাজনীতিতে জল্পনা তিনি নাকি চান না বিএস ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ চালিয়ে যান। একাধিক ইস্যুতে বিরোধ রোজই বাড়ছে। সম্প্রতি রাজ্যসভা নির্বাচনের জন্য বিএস ইয়েদুরাপ্পা যে ৩ টি নাম পাঠিয়েছিলেন, তার ৩ টেই খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব। বদলে, পাঠিয়েছে দুটি নতুন নাম। এর আগেও লোকসভা ভোটে ইয়েডির প্রার্থী প্রাক্তন মন্ত্রী অনন্ত কুমারের স্ত্রীকে টিকিট না দিয়ে তরুণ তেজস্বী সূর্যকে টিকিট দেন বিএল সন্তোষ।

আর তাই, সব মিলিয়ে নাকীয়ে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ইঙ্গিত স্পষ্ট সম্মান নিয়ে এখনই সরে যাও, নাহলে আগামীদিনে সরানো হবে বলে তীব্র জল্পনা ইয়েডি শিবিরে। এমনিতেই বিজেপিতে ৭৫ বছর বয়স হয়ে গেলে তাঁর সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার নিয়ম। কিন্তু ইয়েদুরাপ্পার ক্ষেত্রে বয়স ৭৭ হয়ে গেলেও, তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীত্ব চালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, এবার বিভিন্ন ইস্যুতে নাকি অমিত শাহের চাপ এতটাই বাড়ছে যে ইয়েডির ইস্তফা দেওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। তবে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীত্ব ৪ বার সামলানো ৭৭ বছরের তরুণ ইয়েডি যে এত সহজে খেলা ছাড়বেন না – তা কার্যত স্পষ্ট করে দিচ্ছেন তাঁর অনুগামীরা। সবমিলিয়ে দক্ষিণ ভারতে জমজমাট রাজনীতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!