এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > এবার কি তৃণমূলের বড় ভরসা হয়ে উঠছেন মমতার নিজের ভাই? প্রকাশ্য মঞ্চের বার্তায় বাড়ছে জল্পনা

এবার কি তৃণমূলের বড় ভরসা হয়ে উঠছেন মমতার নিজের ভাই? প্রকাশ্য মঞ্চের বার্তায় বাড়ছে জল্পনা


একসময় কংগ্রেসে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কালের নিয়মে তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসেও এখন পরিবারতন্ত্র বাসা বাঁধছে বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী গোষ্ঠীরা। বর্তমানে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা দলের অলিখিত সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর সেইভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের তরফে তেমন কাউকে রাজনীতিতে আসতে দেখা যায়নি। কিন্তু এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে আগমন নয়া জল্পনা তৈরি করল। বস্তুত, তৃণমূলের জয়হিন্দ বাহিনীর রাজ্য সভাপতি হলেন এই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। এতদিন সরাসরি তিনি রাজনৈতিক ময়দানে না নামলেও, এবার সংগঠনের হয়ে ময়দানে নেমে “দিদি” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি করতে শুরু করলেন “ভাই” কার্তিক।

যার ফলে অনেকে বলছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের আরও এক সদস্য সক্রিয় ভাবে রাজনৈতিক ময়দানে নেমে পড়লেন। সূত্রের খবর, রবিবার বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের “জয়হিন্দ বাহিনীর” সম্মেলন আয়োজিত হয় যেখানে উপস্থিত হন এই জয়হিন্দ বাহিনী রাজ্য সভাপতি তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর সেই মঞ্চ থেকেই বক্তব্য রাখতে উঠে একদিকে দলের সবাইকে সচেতন থাকার যেমন পরামর্শ দেন কার্তিকবাবু, ঠিক তেমনই বিজেপিকে কিভাবে মোকাবিলা করতে হবে, তার প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেন। এদিন তিনি বলেন, “আমরা সাধারন মানুষের জনসেবামূলক কাজ করব। আমরা তৃনমূল কংগ্রেসের সমস্ত কর্মসূচি পালন করব। বিজেপির মত কোনো ভেদাভেদ করব না। রাম রহিমের জন্য কাজ করতে হবে। বিপদে-আপদে প্রতিটি মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি আরও বলেন, “কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, তার জন্য যেন মূল সংগঠনের সাথে আমাদের কোনো সংঘর্ষ তৈরি না হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কংগ্রেস ছেড়েছিলেন, সেদিন আমরা অনেকেই ভেবেছিলাম কি হবে! কিন্তু আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারা ভারতের মুখ। তিনি নিজের জন্য রাজনীতি করেননি। সাধারণ মানুষের জন্য লড়াই করেছেন। হয়ত তৃণমূল ছাড়া একদিন সবাই নির্মূল হয়ে যাবে। তার মানে এই নয় যে, আমরা যা খুশি করব।”

এদিকে এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথও। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি দলীয় কর্মীদের কিছুটা সতর্ক করে দেন। তিনি বলেন, “অনেক সরকারি প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাতে নিয়েছেন। জয়হিন্দ বাহিনী গ্রামে গ্রামে গিয়ে ক্যাম্প করে এটা মানুষকে বোঝাক। ব্লকে ব্লকে কমিটি করা হল। আর কেউ নেতা হয়ে গেল, তাহলে হবে না। গ্রামে গিয়ে মানুষের কথা শুনতে হবে।”

স্বপনবাবুর কথায়, “অনেকে পিকের কাছে প্রতিদিন অভিযোগ করছেন। আমার কাছে সেই অভিযোগগুলো আসছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সেই অভিযোগের কোনো গুরুত্ব নেই। আমি একজনকে পছন্দ করি না, তাই আমি তার নামে একটা অভিযোগ করে দিচ্ছি, এগুলো করে কোনো লাভ নেই। আমি সবাইকে নিয়ে চলতে চাই। হয়ত কেউ আমাকে গালিগালাজ করেন, কিন্তু মনে রাখবেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”

তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পগুলো যাতে মানুষের কাছে পৌঁছয়, আমাদের সেই ব্যবস্থা করে দিতে হবে।” সব মিলিয়ে একদিকে দলীয় কর্মীদের সচেতন, আর অন্যদিকে সংগঠনের শ্রীবৃদ্ধির কথা বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের অন্যতম সদস্য কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে আগমন নিয়ে নয়া সমীকরণ তৈরি করল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। বিশেষ করে রাজ্যজুড়ে গেরুয়া ঝড় থামাতে তৃণমূলের বড় ভরসা হতে চলেছে জয় হিন্দ বাহিনী, যার মাথায় বসে আছেন কার্তিকবাবু।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!