এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলায় কি ধীরে ধীরে উঠতে চলেছে লকডাউন? নবান্ন থেকে বড়সড় ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

বাংলায় কি ধীরে ধীরে উঠতে চলেছে লকডাউন? নবান্ন থেকে বড়সড় ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী


করোনা ভাইরাসকে দমন করার প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি তাই লকডাউনকেই এই রোগের একমাত্র দমনের হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। ভারতবর্ষ তথা পশ্চিমবঙ্গে এক মাসের ওপর হয়ে গেল লকডাউন চলছে। লকডাউনের জেড়ে থমকে গেছে রাজ্যের পরিবহন ব্যবস্থাও। এবার রাজ্যবাসীদের জন্য বড়সড় সুখবর এল। বাংলায় ধীরে ধীরে লকডাউন উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিল। বুধবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানালেন বাংলায় ধাপে ধাপে লকডাউন শিথিল করার পরিকল্পনার কথা।

অবশেষে ৩রা মে থেকে প্রথম ধাপের লকডাউন উঠে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে।করোনার জেরে থমকে রয়েছে বহু পরিষেবা, থমকে পরিবহণও। মানুষের রুজি রোজগারের কথা বিবেচনা করে এবার পরিবহন বিধি কিছুটা শিথিল করার নিদান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্ন থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানান, লকডাউন উঠে গেলেই গ্রীনজোনগুলির মধ্যে সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন বাস এবং ট্যাক্সি চালানো যেতে পারে।

তবে, লকডাউন শিথিল করার ভাবনা থাকলেও, একেবারেই কিন্তু উঠে যাচ্ছে না লকডাউন। ফলে থাকবে বেশ কিছু বাধা নিষেধ। যেমন, সরকারি বাসগুলিতে সাধারণত ৬০টি করে আসন থাকে। কিন্তু এখন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে ২০ জনের বেশি উঠতে পারবেন না একটি বাসে। শুধু তাই নয়, একটি সিটে জানলার ধারে একজন যাত্রী বসলে অন্য জন বসবেন তার পেছনের সিটে, বাইরের দিকে। একই সঙ্গে যাত্রীদের মাস্ক পরা বাঞ্ছনীয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ট্যাক্সির ক্ষেত্রে ড্রাইভারকে নিয়ে কোনও ভাবেই তিন জনের বেশি থাকা চলবে না ।যাত্রীদের এক জনকে সামনে বসতে হবে, এক জন বসবেন পিছনে। গ্রিন জোনে চলাচল করলেও জেলার বাইরে বাস নিয়ে যাওয়া যাবে না। তবে কনটেনমেন্ট এলাকায় এই সুবিধা মিলবে না বলে এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এই ধরনের সুবিধা মিলবে শুধুমাত্র গ্রীন জন গুলির ক্ষেত্রেই।

মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর মতে, আগামী সোমবার থেকেই পথে নামতে পারবে বাস ও ট্যাক্সি। তবে এগুলি প্রতিদিন স্যানিটাইজ় করতে হবে। করোনার জেরে যে দীর্ঘ লকডাউন চলছে, তাতে থমকে রয়েছে বহু পরিষেবাই। পরিবহন বন্ধ রয়েছে গত মাসের ২৫ তারিখ থেকে। কিন্তু মানুষের রুজি-রোজগারের চিন্তা এবার বাড়ছে সর্বত্রই। সে সব বিবেচনা করেই দ্বিতীয় দফার লকডাউন শেষ হওয়ার পরে, সোমবার থেকে এবার পরিবহন বিধি কিছুটা শিথিল করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে শুধু পরিবহন ক্ষেত্রেই নয় – মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান গ্রীন জোনে প্রায় সব দোকানই খুলে দেওয়া হবে। ব্যতিক্রম শুধু শপিং মল। এমনকি, এইসব জায়গায় চা বা পানের দোকানও খুলে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে তিনি জানান, তবে কেউ দোকানে বসে চা বা ধুম্র পান করতে পারবেন না। এগুলি কিনে নিয়ে বাড়ি চলে যেতে হবে – চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেওয়া যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন – বাংলায় কিন্তু লকডাউন থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!