দল ছাড়ছেন দাপুটে দুই কংগ্রেস সাংসদ? তৃণমূল না বিজেপি কোথায় যোগ দেবেন? জল্পনা চরমে বিশেষ খবর রাজ্য June 6, 2018 গতকাল মালদার বুকে দাঁড়িয়ে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী তথা শাসকদলের দাপুটে নেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, মালদহ জেলার প্রথম শ্রেণির জনপ্রতিনিধিরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আসতে চান। তাঁরা তৃণমূলের উন্নয়নের নৌকায় উঠতে চান, ইতিমধ্যে তাঁরা আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। আর কংগ্রেসের নয়, মালদহ এখন তৃণমূলের দুর্গ। আর কেউ কংগ্রেসে থাকবে না। খুব শীঘ্রই মালদহ জেলার অনেক তাবড় তাবড় নেতা বাম-কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেবেন। বাংলা জুড়ে উন্নয়ন হচ্ছে – আর এই উন্নয়নের রথে চেপে আগামী লোকসভা ভোটে মালদহের দু’টি আসনে জিতে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার তুলে দেব আমরা। পঞ্চায়েতে নির্বাচনে ৪৪% ভোট পেয়েছি আমরা, এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে লোকসভায় ৫৫% ভোট পেয়ে দু’টি লোকসভা আসনেই লাখের উপর ভোটে জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেন্দুবাবুর এহেন বক্তব্যের পর মনে করা হচ্ছিল মালদায় পঞ্চায়েতের জয়ী বিরোধী দলের প্রার্থীদের কথা বলছেন তিনি। কিন্তু বাংলার এক প্রথম শ্রেণীর দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, শুভেন্দুবাবুর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দল ছাড়ার জল্পনা ছড়িয়েছে মালদা জেলার দুই কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি ও মৌসম বেনজির নুর সম্পর্কে। ওই সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, এই দুই দাপুটে সাংসদকে দলে নিতে চায় বিজেপিও, কিন্তু সংখ্যালঘু ভোটের কথা ভেবে তাঁদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে ওই সংবাদেরই একদম শেষে মালদা উত্তরের কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নুরের প্রতিক্রিয়া হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে, দলের কিছু লোক তৃণমূলে যাচ্ছেন, এটা ঠিক। দলে কিছু গাফিলতি তো আছে। তা সংশোধন করতে হবে, না হলে সমস্যা হবে। আমার কাছে তৃণমূলে যোগদানের কোনও প্রস্তাব আসেনি। যদিও এই খবরের সত্যতা বা সূত্র সম্পর্কে ওই সংবাদমাধ্যমে কিছু লেখা নেই, প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফেও এই খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি। এই প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে ওই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে করা, কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়। আপনার মতামত জানান -