এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আজ তৃণমূলের ঐতিহাসিক ব্রিগেড সমাবেশ – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব মেনে নেন কিনা বিরোধী নেতারা নজর সেদিকেই

আজ তৃণমূলের ঐতিহাসিক ব্রিগেড সমাবেশ – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব মেনে নেন কিনা বিরোধী নেতারা নজর সেদিকেই


২০১৪ সালে দেশজুড়ে প্রবল মোদী হাওয়ার মধ্যেও বাংলায় প্রবলভাবে ছিল দিদি-হাওয়া। আর সেই হাওয়াতে ভর করেই রাজ্য থেকে নিজেদের সর্বকালীন রেকর্ড সংখ্যক ৩৪ টি আসন দখলে এনেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভাতে যদিও বিজেপির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সামনে কাজে লাগে নি সেই সংখ্যা – কিন্তু দেশের চতুর্থ বৃহত্তম দল হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস।

আর তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রথম থেকেই মোদী-বিরোধিতার ব্যাটনটা নিজের হাতেই রেখেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। পরবর্তীকালে তিনিই কেন্দ্র থেকে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে হঠাতে সব থেকে বড় উদ্যোগী। আর সেই উদ্যোগের অংশ হিসাবে আজ কলকাতা ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের ঐতিহাসিক জনসমাবেশ। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের রেকর্ড জমায়েত থেকে অবশ্যাম্ভাবী ভাবে ডাক উঠতে চলেছে তাঁদের প্রিয় দিদিকেই দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী করা হোক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ডাক দিয়েছিলেন – দুহাজার উনিশ, বিজেপি ফিনিশ – সেই ডাকে মান্যতা দিয়ে তাঁর নেতৃত্ব কতটা মেনে নেবেন আজ সভায় উপস্থিত দেশের অন্যান্য আঞ্চলিক ও জাতীয় দলের শীর্ষনেতারা। ডাক দিয়েছেন মমতা, ব্রিগেড চলো জনতা – এই স্লোগানে সাড়া দিয়ে লক্ষ লক্ষ তৃণমূলী জনতাকে ব্রিগেডের মাঠে সাক্ষী রেখে সত্যিই দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর আসনে এক বাঙালিকে মেনে নেন কিনা অন্য নেতারা – মূল আকর্ষণ হতে চলেছে সেটাই। আর তাই, ব্রিগেডের জনসমুদ্রকে সম্বোধন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা মহাজোটের বাকি নেতারা কী বার্তা দেন, তা জানতেই মুখিয়ে সব রাজনৈতিক পক্ষ।

ইতিমধ্যেই, তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে মহা-ব্রিগেড সফল করতে শহরে এসে পৌঁছেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া, এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার, ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী টি আর বালু, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ শৌরি, সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, অরুণাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গেগং আপাং, মিজোরামের বিরোধী দলনেতা পু লালধুয়ামা। বিদ্রোহী বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা, যশোবন্ত সিনহা, মায়াবতীর প্রতিনিধি সতীশ মিশ্র, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, আরজেডির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড তেজস্বী যাদবরা শহরে এসে পড়বেন যে কোনও মুহূর্তে।

আর তাঁদের আহ্বানে কোনো খামতি রাখছেন না টীম মমতা। ডেরেক ও’ব্রায়েন, সৌগত রায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সঙ্ঘমিত্রা মমতাজ, মণীশ গুপ্ত, সব্যসাচী দত্ত, তৃণমূল নেত্রীর আপ্তসহায়ক রতন মুখোপাধ্যায় – কার্যত নিঃশ্বাস ফেলার সময় নেই এঁদের কারোরই। তবে শুধু নিজের টিমের উপর দায়িত্ব দিয়েই ক্ষান্ত নন খোদ তৃণমূল নেত্রী – নিজে এসে ইতিমধ্যেই শহরে পৌঁছে যাওয়া নেতাদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি চক্কর দিয়ে গেছেন মূল সভাস্থল। এমনকি, আগেই চলে আসা কর্মী-সমর্থকদের একাংশ ব্রিগেডের সভাস্থলেই রয়েছেন – তৃণমূল নেত্রী দেখা করেন তাঁদের সঙ্গেও। সবমিলিয়ে শাসকদলের ঐতিহাসিক ব্রিগেডের প্রস্তুতি সম্পন্ন – এখন দেখার শুধু তাঁর সর্বভারতীয় নেতৃত্বের দাবিতে সিলমোহর পরে কিনা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!