শ্যালক নন, রেল-প্রতারণায় মুকুল রায়কে প্যাঁচে ফেলায় কি মূল লক্ষ্য? উঠছে প্রশ্ন বিশেষ খবর রাজ্য May 6, 2018 বিজেপি নেতা মুকুল রায় গ্রেফতারের পর থেকেই এক রাশ প্রশ্নের ঝড় উঠেছে পুলিশ, রাজনৈতিক মহল সহ রাজ্যে সাধারণ মানুষের মনে। শুক্রবার গভীর রাতে নয়াদিল্লি বিমানবন্দর থেকে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা গ্রেফতার করলেন মুকুল রায়ের শ্যালক সৃজন রায়কে। এই গ্রেফতারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে তৎকালীন কেন্দ্রীয়-রেলমন্ত্রী জামাইবাবুর প্রভাবেই কি শ্যালক খুলেছিলেন প্রতারণা চক্রের ফাঁদ? সেই চক্রের মূল মাথা কি জামাইবাবু নিজে? এখন এই প্রশ্নগুলিরই উত্তর খুঁজছে উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুর থানার পুলিশ। শনিবার সৃজন রায়কে পুলিশ ব্যারাকপুর আদালতে পেশ করে। এই সময়ে আদালত চত্বরে প্রতারিত মানুষেরা বিক্ষোভ দেখালে তুমুল হট্টগোলের পরিস্থিতি তৈরী হয়। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে বিক্ষোভকারীরা জানান, সাজাদা (সৃজন রায়ের ডাকনাম) নিজেকে মুকুল রায়ের ছায়াসঙ্গী বলে পরিচয় দিতেন। প্রসঙ্গত, মুকুল রায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীনই রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে সৃজন রায় টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তাই পুলিশও এখন এই প্রতারণা মামলায় সৃজন রায় ও মুকুল রায়ের মধ্যে সংযোগ খোঁজার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। সৃজন রায়ের বিরুদ্ধে উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। এদিন ব্যারাকপুর আদালতে বিচারক সৃজন রায় কে ১২ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে। তবে এই প্রসঙ্গে পুলিশ এখনই কিছু না জানালেও সূত্রের খবর অনুয়ারী পুলিশ এই প্রতারণা কান্ডের সাথে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের কোনো সংযোগ আছে কী না সেই বিষয়েই বিশেষ তদন্ত করছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সৃজন রায়ের প্রতারণা মামলায় ৬ বছর বাদে হঠাৎ গ্রেপ্তারি মোটেই আশ্চর্জজনক নয়, কেননা রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি অনুযায়ী আসল লক্ষ্য মুকুল রায়। কিছুদিন আগেই পুরোনো ঘটনার জের টেনে মুকুল রায়ের রাজনৈতিক সিংহরায়ের খুনের তদন্তে মুকুল রায়কে পুলিশি হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতের নির্দেশে ব্যর্থ হয় পুলিশ। আর তাই এই ‘প্রতারণা-কান্ডেও’ সৃজন রায় নন মুকুল রায়ই হতে চলেছেন মূল লক্ষ্য মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -