নিজেদের স্বার্থেই কি বিজেপি এবার মুকুল রায়কে ‘বড় পদ’ দিতে চলেছে? জাতীয় বিশেষ খবর রাজ্য January 24, 2018 তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায় বেশ কিছুদিন হয়ে গেল। কিন্তু এখনও তিনি ‘সরকারিভাবে’ দলের একজন সাধারণ সদস্য ছাড়া আর কিছু না। কিন্তু সূত্রের খবর ছবিটা দ্রুত বদলাচ্ছে। মুকুল রায়কে খুব শীঘ্রই দলে ‘বড় পদ’ দেওয়া দরকার অনুধাবন করছেন স্বয়ং বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরের শীর্ষ নেতৃত্ত্ব। অনেকেই বলছেন সদ্য নোয়াপাড়াতে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মঞ্জু বসুকে প্রার্থী করতে গিয়ে তাঁর ‘মুখ পুড়েছে’, তাই তিনি নাকি ব্যাকফুটে। কিন্তু বিজেপির অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট কিন্তু তা বলছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতার কথায়, এর আগে উত্তরবঙ্গে রাজ্য সভাপতি ও সর্বভারতীয় সভাপতি দলিত পরিবারে পাট পেরে খাওয়ার পরের দিনই সেই পরিবার শাসকদলে যোগ দেয়। সুতরাং মানু বসুর ব্যাপারে মুকুল রায় কি করে ‘ব্যাকফুটে’ থাকেন? তাছাড়া মুকুল বাবুর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে নোয়াপাড়ায় কি হাত সবাই জানে, তাছাড়া উনি দলে আসার পর বিজেপি কর্মীদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ দেখা দিয়েছে। বিজেপি নির্বাচনে লড়ছে জেতার জন্য, দ্বিতীয় বা তৃতীয় হওয়ার জন্য নয়। পুরো দলটার ‘বডি ল্যাংগুয়েজ’ পাল্টে গেছে। আর সূত্রের খবর, মুকুল বাবুর নামে এহেন রিপোর্ট পৌঁছেছে স্বয়ং অমিত শাহর কাছে। বর্তমানে, রাজ্যজুড়ে যে বিজেপির প্রতি একটা সমর্থনের হাওয়া রয়েছে তাতে করে বিজেপি আগামী ২০১৯ এ ৭-৮ টি আসনে জেতার মত জায়গায় আছে বলে মনে করছে। কিন্তু সেটাই অন্তত ২১-২২ টি পৌঁছে যেতে পারে বলে বিজেপির অভ্যন্তরীণ হিসাব। আর তা করতে গেলে মুকুল রায়ের ‘ক্ষমতায়ন’ অত্যন্ত জরুরি। কেননা তাতে দুটি জিনিস স্পষ্ট হবে – এক, মুকুলবাবু তৃণমূল কংগ্রেস থেকে এসে কেন্দ্রে মন্ত্রীত্ত্ব বা রাজ্যে ভালো পদ পেলে, শাসকদলে অনেকেই আছেন যাঁরা ভালো ‘পুনর্বাসনের’ ভরসায় গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে পারে। দ্বিতীয়ত, কর্মীদের কাছে মুকুল রায় ক্রমশ মুখ হয়ে উঠছেন, তার থেকেও বড় কথা শাসকদলে তাঁর অনুগামীর সংখ্যা কম নয়, সেক্ষেত্রে তাঁরাও ভরসা পাবেন। তাছাড়া রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বর্তমানে অসুস্থ, কবে সুষ্ঠ হয়ে স্বমহিমায় ফিরতে পারবেন তার উপরে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন, আর তাই দায়িত্ত্ব নিয়ে বিজেপির আন্দোলন, কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মুকুল রায়ই এখন সবথেকে গ্রহণযোগ্য মুখ। সব মিলিয়ে বাংলায় বিজেপির বিস্তারে মুকুল রায়ের বড়সড় পদ পাওয়া অত্যন্ত জরুরি বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -