নারদ তদন্তের চার্জশীট এই মাসেই? জেলের পথে অনেক হেভিওয়েট? জল্পনা তুঙ্গে কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য July 18, 2018 রাজ্য-রাজনীতিতে ঝড় তুলে দেওয়া বিতর্কের আরেক নাম ‘নারদ স্টিং অপারেশন’ – ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে নারদ-কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের করা এই স্টিং অপারেশন প্রকাশ্যে আসে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে। তারপর এই মামলায় তদন্তের ভার আদালতের নির্দেশে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি নিজেদের হাতে তুলে নেয় সিবিআই। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে কিন্তু সেই মামলার অগ্রগতি বিশেষ চোখে পরে না, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় এই তদন্তে বেশ কিছু ‘টেকনিক্যাল’ অসুবিধার জন্য আর এগোনো যাচ্ছে না। এই অবস্থায় সারদা ও নারদ মামলায় অগ্রগতি নিয়ে খোঁজখবর নিতে গতমাসে কলকাতায় আসেন সিবিআইয়ের বিশেষ আধিকারিক রাকেশ আস্থানা। নারদ তদন্তে যুক্ত সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। আর এরপরেই এই মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় রাজ্যের সিবিআই আধিকারিক অভয় সিংকে। অন্যদিকে নারদ তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বাংলা সংস্করণে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী শীঘ্রই তা জমা পড়তে চলেছে। আর তার সঙ্গেই নাকি সিবিআই এই মাসের মধ্যেই আদালতে চার্জশিটও জমা করতে চলেছে বলে ওই সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে। ওই খবরে আরো দাবি করা হয়েছে, নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিওটি জাল কিনা তা যাচাই করার জন্য হায়দ্রাবাদে ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। যদি প্রমাণিত হয় ভিডিওটি জাল নয়, তাহলে এই ঘটনায় জড়িতরা আরো বড় অস্বস্তিতে পড়তে পারেন। এমনকি চার্জশিটে নাম থাকলে তাঁরা গ্রেপ্তারও হতে পারেন বলে দাবি করা হয়েছে। এমনিতেই এই ঘটনায় রাজ্যের প্রথম সারির অনেক রাজনীতিবিদের নাম জড়িয়েছে, এখন সেখানে গ্রেপ্তারির সম্ভাবনার কথা বলায় রাজ্য-রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। আপনার মতামত জানান -