মুকুল রায়ের মাস্টারস্ট্রোকে একদা মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ সংখ্যালঘু শীর্ষমুখ এবার বিজেপিতে? বিশেষ খবর রাজ্য May 7, 2018 তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েই নিজের হাতে গড়া সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ককে ধীরে ধীরে গেরুয়া শিবিরের দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন মুকুল রায়। এতদিনের প্রথাগত ‘হিন্দুত্ত্ববাদী’ দলের তকমা ছেড়ে সংখ্যালঘু সমাজেও যে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে তা পঞ্চায়েতের প্রার্থী তালিকা থেকেই প্রমাণিত। বাংলায় যে বিজেপি এতদিন ১০০ জন সংখ্যালঘু মুখকেও পঞ্চায়েতে প্রার্থী করতে পারত না তারাই একধাক্কায় ৮৫০ জন সংখ্যালঘু মুখকে প্রার্থী করেছে আর গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর এর পিছনে আসল কারিগর মুকুল রায়। তবে এখানেই থেমে থাকতে রাজি নন মুকুলবাবু, সূত্রের খবর তৃণমূল কংগ্রেসের সাধের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে বড়সড় ধাক্কা দিতে এবার এক মাস্টারপ্ল্যান করেছেন তিনি। তাঁর হাত ধরে একদা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম নুর রহমান বরকতি বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতার কথায়, মুকুলবাবুর সঙ্গে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। আর বরকতি সাহেবের সঙ্গেও তাঁর বিশেষ সুসম্পর্ক আর সেই সম্পর্ক কাজে লাগিয়েই একপ্রকার তাঁকে দলে নিতে উদ্যোগী হয়েছেন মুকুলবাবু। যদিও রাজ্য-বিজেপির একাংশের এতে ঘোর অনীহা ছিল। কেননা, তাঁর ভাবমূর্তি আদৌ উজ্জ্বল নয়, এমনকি একসময় দেশ বিরোধী মন্তব্যে তাঁকে বিতাড়িত করতে চেয়েছিল বিজেপি। ফলে তিনি দলে এলে হিন্দুভোটে বড়সড় ফাটল ধরতে পারে। কিন্তু মুকুল রায় শিবিরের দাবি বাংলায় বিজেপিকে যদি ‘সাম্প্রদায়িকতার’ বেড়াজাল থেকে বেরোতে হয় (যে অস্ত্রতে বারবার বিরোধীরা বিঁধছে) তাহলে একজন হেভিওয়েট সংখ্যালঘু মুখ দরকার। আর বরকতি সাহেবকে দলে নিলে তৃণমূল শিবিরকে যে ধাক্কা দেওয়া যাবে তার ফলে টলমল হয়ে যেতে পারে ঘাসফুল শিবির। এই নিয়ে সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের কাছে দরবার করা হলে তাঁর সবুজ সংকেত মিলেছে বলেই ওই নেতার দাবি। ফলে, অমিত শাহের আগামী বঙ্গ সফরেই তাঁর হাত ধরে বরকতি সাহেবের গেরুয়া শিবিরে পদার্পন একপ্রকার বাঁধা। তবে এই নিয়ে সরকারিভাবে এখনো বরকতি সাহেব নিজে বা গেরুয়া শিবির মুখ খুলতে রাজি নয়। আপনার মতামত জানান -