এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > উঠে যেতে চলেছে ‘নোটা’? তবে সব জায়গায় নয়-বড়সড় ইঙ্গিত সুপ্রিমকোর্টের

উঠে যেতে চলেছে ‘নোটা’? তবে সব জায়গায় নয়-বড়সড় ইঙ্গিত সুপ্রিমকোর্টের


ভারতীয় নির্বাচনী ব্যবস্থায় যখন ব্যালট পেপার ছেড়ে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হল তখন জন্ম হয়েছিল নতুন এক বিতর্কের। ব্যালট পেপারে যদি কোনো প্রার্থীকেই ভোট দিতে ইচ্ছে না করে তাহলে দুটি চিহ্নের মাঝখানে ছাপ মেরে ভোটার তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেও ভোটটি কার্যত ‘নষ্ট’ করে দিতে পারেন। কিন্তু ইভিএমে প্রাথমিকভাবে এইভাবে ভোট ‘নষ্ট;’ করার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। আর সেই বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন ‘নোটা’ অপশন চালু করে।

আর এবার সেই ‘নোটা’ নিয়মে বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। তবে তা সব জায়গায় নয় – শুধুমাত্র রাজ্যসভায় বিধায়কদের ভোটদানের সময়। সূত্রের খবর, রাজ্যসভায় ভোট প্রক্রিয়ায় বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। রাজ্যসভার নির্বাচন থেকে নোটাকে হটিয়ে দেওয়ার পক্ষে জোর সওয়াল তুললেন সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। যুক্তিতে জানালেন, রাজ্যসভার ভোটের ক্ষেত্রে একজন বিধায়কের ভোটের মূল্য কখনোই শূন্য হতে পারে না। নোটায় ভোট দিয়ে সেটা নষ্ট করার প্রসঙ্গই ভিত্তিহীন।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন ২০১৪ সালে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যসভার ভোটেও নোটা জারির কথা ঘোষণা করে। রাজনৈতিক স্বার্থের কথা ভুলে এই ঘোষণার বিরুদ্ধে এক হতে দেখা যায় দুই যুযুধান গোষ্ঠী বিজেপি এবং কংগ্রেসকে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে পিটিশন দাখিল করেন গুজরাত কংগ্রেসের সভাপতি শৈলেশ পারমার। এই পিটিশনকে সঙ্গে সঙ্গেই সমর্থন জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপাল।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এই ইস্যু সংক্রান্ত মামলা নিয়ে এদিন জোর তরজা চলে দুই পক্ষের মধ্যে। পিটিশনকারীর হয়ে সওয়াল করেন অন্যতম সিনিয়র আইনজীবী তথা রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে সওয়াল করেন আইনজীবী অমিত শর্মা। দুই তরফের যুক্তি এবং পাল্টা যুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বিচার করে দেখে, সাধারণ নির্বাচনের কারণে নোটার অধিকার চলে গেছে জনগনের কাছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতেই আদালতের পর্যবেক্ষন, নির্বাচন কমিশন এমন একটা জায়গায় হস্তক্ষেপ করেছে, যেখানে ওটা করার কোনো প্রয়োজনই ছিল না। কোনো বিধায়কের ভোট না দেওয়া তবু মেনে নেওয়া যায় – কিন্তু, বিধায়কদের নোটা অপশন দেওয়াটা মোটেই গ্রহনযোগ্য নয়। আর তাই রাজ্যসভার নির্বাচন থেকে নোটা অপসারনের বড়সড় ইঙ্গিত মিলল দেশের সর্বোচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। তবে এ ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, এমনটাই জানা যাচ্ছে আইনজীবীদের সূত্রের খবর থেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!