এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > পঞ্চায়েত নির্বাচন কি ১৪ তারিখ হচ্ছে না? আদালতের রায়ে বাড়ল জল্পনা

পঞ্চায়েত নির্বাচন কি ১৪ তারিখ হচ্ছে না? আদালতের রায়ে বাড়ল জল্পনা


পঞ্চায়েতের নিরাপত্তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আজ এক জনস্বার্থ মামলার রায় দিলেন প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার অন্যতম আবেদনকারী ছিলেন বিজেপি প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিস শীল। এই মামলার রায় বেরোনোর পর দেবাশিসবাবুর সঙ্গে প্রিয় বন্ধু বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান – এই মামলার শুনানিতে আগেরদিনই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতি বুথে একজন করে সশস্ত্র পুলিশ ও একজন করে লাঠিধারী পুলিশ দেওয়া হবে এবং নির্বাচন কমিশন তা মেনেও নিয়েছিল। কিন্তু সেদিনই আমরা জানিয়েছিলাম, এই সুরক্ষা ব্যবস্থায় আমরা খুশি নই। কেননা প্রথমত, সশস্ত্র পুলিশ হিসাবে রাজ্য সরকার – বনরক্ষী, কারারক্ষী বা আবগারি দপ্তরের বাহিনী ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে, যাঁরা নির্বাচনের দিন আইন-শৃঙ্খলা কতটা রক্ষা করতে পারবেন সেই নিয়ে সন্দিহান সবাই। অন্যদিকে, বুথচিত্র অনুযায়ী (সাধারণ, স্পর্শকাতর ও অতি-স্পর্শকাতর) কোনো নিরাপত্তার শ্রেণীবিন্যাস করা হয় নি। তাই সবমিলিয়ে ভোটকর্মীদের সুরক্ষা কতটা নিশ্চিত হবে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।

দেবাশিসবাবু আরো জানান, আদালত আজ যে রায় দিয়েছেন তা হল –
১. সুরক্ষা নিয়ে কমিশন যদি সন্তুষ্ট হয় তবে আদালত হস্তক্ষেপ করবে না।
২. তবে ভোটকর্মীদের সুরক্ষা প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে, তাই সর্বপ্রথম রাজ্য পুলিশকে নিরাপত্তার কাজে ব্যবহার করতে হবে, তারপরে অন্যান্য বিভাগের বাহিনী ব্যবহার করা যাবে।
৩. সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যাঁরা রিপোর্ট দিয়েছেন আদালতকে (এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন) – যদি কোনো প্রাণহানি হয় তাঁরাই সম্পূর্ণ দায়ী থাকবেন।
৪. প্রয়োজনে তাঁদের বেতন থেকে বা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নিহত বা আহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে
৫. এই নির্দেশ যেদিন নির্বাচন হবে, সেদিনই প্রযোজ্য

আর এই রায়ের ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কলকাতা হাইকোর্ট কিন্তু কোথাও বলেনি যে নির্বাচন ১৪ তারিখেই হচ্ছে। এখন নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে ১৪ তারিখে ভোট হবে, তবেই তা সম্ভব, কেননা ইতিমধ্যেই আদালতে চলা অন্য মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ১৪ তারিখ ‘প্রস্তাবিত দিন’, তাই আদালতের এই রায়ের ফলে আগামী ১৪ তারিখে ভোটগ্রহণ নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠে গেল। অন্যদিকে, দেবাশিসবাবুও জানিয়েছেন, এই রায়ের ফলে তিনি সরকারি কর্মচারীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট নন। ফলে নিজের আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন। আর তাই আবারো আইনি জটে জটিল হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!