এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা থেকে মুক্তি পেতে অবশেষে আশার কি মিলল আলো? প্লাজমা থেরাপিতেই কি মিলবে বাঁচার দিশা?

করোনা থেকে মুক্তি পেতে অবশেষে আশার কি মিলল আলো? প্লাজমা থেরাপিতেই কি মিলবে বাঁচার দিশা?

সারা বিশ্বজুড়ে এই মুহূর্তে চলছে করোনা ভাইরাস এর মারাত্মক প্রাদুর্ভাব। মারা যাচ্ছে বিশ্বে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে দীর্ঘকালীন লকডাউন ব্যবস্থা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সারাবিশ্বে কুড়ি লাখের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভারতেও করোনা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

পরিস্থিতি কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছেনা। বরং একের পর এক মৃত্যু সংবাদ আসছে, যার ফলে দেশবাসী চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। তবে এই সবকিছুর মধ্যেই এবার কিছুটা আশার আলো দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তি প্লাজমা থেরাপির পর রীতিমতো সুস্থ হয়ে উঠছেন। কিছুদিন আগেই করোনা পজিটিভ লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেইসময় চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন, তাঁকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হবে। এবং সেই চিকিৎসায় ফল পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।

এপ্রিলের শুরুতেই দিল্লিতে একজন 49 বছর বয়স্ক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ক্রমশ ওই করোনা রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় যায়, যখন তাঁকে বাইরে থাকে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসকরা লক্ষ্য করেন, ঐ রোগীর শ্বাসযন্ত্র ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। এই অবস্থায় তখন চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন, তাঁরা ওই ব্যক্তির উপর প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই প্রয়োগপদ্ধতির জন্য এমন একজনকে হাসপাতালে ডাকা হয় যে সম্প্রতি করোনা ভাইরাস থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছে। এরপর ওই প্লাজমা দাতা ব্যক্তির হেপাটাইটিস-সি, হেপাটাইটিস বি এবং এইচআইভি পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট স্বাভাবিক আসার পর তাঁর প্লাজমা নিয়ে অসুস্থ করোনা আক্রান্তের শরীরে দেওয়া হয়। প্লাজমা দেওয়ার চারদিন পর থেকে দেখা যায়, ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছেন ঐ আক্রান্ত ব্যক্তি। বর্তমানে তাঁর ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা খুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ক্রমশ তিনি যে সুস্থ হয়ে উঠছেন এ কথার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 1918 সালে যখন পৃথিবীর বুকে স্প্যানিশ ফ্লু মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল, সেসময় এই প্লাসমা থেরাপি দিক নির্ণয় করেছিল।

এই স্প্যানিশ ফ্লু বিশ্বজুড়ে মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল বলে জানা যায়। সে সময় কয়েক কোটি মানুষ এই অসুখে মারা যান। প্লাজমা থেরাপি সঞ্জীবনী হিসেবে সেইসময় কাজ করেছিল বলে জানা গেছে। তাই এবার চিকিৎসকদের কাছে নতুন করে আশার আলো নিয়ে এসেছে প্লাজমা থেরাপি।অন্যদিকে, চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে ভাবে দিল্লির বেসরকারি হাসপাতালে আক্রান্ত রোগী প্লাজমা থেরাপির ফলে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তা মাথায় রেখে আরো কয়েকজনের ওপর এই থেরাপি প্রয়োগ করতে হবে। যদি প্রত্যেকেই সফলতার সঙ্গে করোনা সংক্রমণ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন, তাহলে বিশ্বের মানুষ আবারও নতুন করে জীবন ফিরে পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!