নেতাজী রহস্য উন্মোচনে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের? রেনকোজি মন্দিরের অস্থির DNA টেস্ট? আন্তর্জাতিক কলকাতা জাতীয় রাজ্য December 4, 2019 ভারতবর্ষে এমন একজন মনীষী এবং দেশ প্রেমিক রয়েছেন, যার জন্মসাল জানলেও, মৃত্যুর দিন সম্পর্কে আমরা অবহিত নই। তিনি আর কেউ নন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। লোকমুখে শোনা যায়, 1945 সালের 18 আগস্ট তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু ওই পর্যন্তই। লোকমুখের কথা লোকমুখেই থেকে কাছে। কিন্তু আজও সেই রহস্যের সমাধান হয়নি। বিভিন্ন ইতিহাসবিদ থেকে শুরু করে সমাজ বিশেষজ্ঞদের কাছে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলেও তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে 2014 সালের নির্বাচনী প্রচারে দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর এই মৃত্যু রহস্য উন্মোচন করা হবে। কিছু তারপরও সেই সমস্যার সমাধান হয়নি। তবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই তার পরিবার সহ দেশবাসীর তরফ থেকে রেনকোজি মন্দিরে রক্ষিত চিতাভস্মের ডিএনএ পরীক্ষার দাবি জানানো হয়েছে। অবশেষে এবার সকলের সেই দাবিকে মান্যতা দেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে একধাপ এগিয়েছে দেশের বিজেপি সরকার। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ভারত সফরের সময় এই ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে একটি আলোচনা হতে পারে। আর যদি দুই দেশের মধ্যে এই ব্যাপারে আলোচনায় কোনো সদর্থক কিছু উঠে আসে, তাহলে তা সুভাষপ্রেমীদের কাছে অত্যন্ত সুখবর বলেই গণ্য হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতবর্ষে সুভাষচন্দ্র বসু এমন একজন মানুষ, যার জন্মদিন আমরা মহাসমারোহে পালন করলেও, মৃত্যুদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর উপায় নেই। কারণ তিনি আদৌ প্রয়াত হয়েছেন কিনা, সেই ব্যাপারে কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই এহেন বৈচিত্র্যপূর্ণ মানবের প্রয়ান রহস্য সমাধান করতে জাপান এবং ভারতের এই আলোচনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়ায় খুশি বসু পরিবার। জানা গেছে, কেন্দ্রের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বসু পরিবারের মুখপাত্র চন্দ্রকুমার বসু। তবে এবারও যদি কেন্দ্রীয় সরকার দুপা এগিয়ে চার পা পিছিয়ে আসে, তাহলে তা দেশবাসীর ভাবাবেগে আঘাত করবে বলে মনে করছে একাংশ। পাশাপাশি নেতাজি পরিবার থেকে নেতাজি অনুগামীরা কেন্দ্রের এহেন উদ্যোগে আশায় দিন গুনছেন। তাই কেন্দ্র যদি এই ব্যাপারে সমস্যা সমাধানে সদর্থক ভূমিকা পালন করে, তাহলে তাদের নেতাজিপ্রেম নিয়ে দেশবাসীর মনে বড় প্রশ্ন দেখা দেবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তাই সেদিক থেকে জাপান এবং ভারতের আলোচনায় নেতাজির মৃত্যু রহস্য নিয়ে সমস্যার সমাধান কোন পথে এগোয়, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা দেশবাসীর। আপনার মতামত জানান -