আবার চেপে বসতে চলেছে নারদ-সরদার ফাঁস? কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যে জল্পনা চরমে জাতীয় বিশেষ খবর রাজ্য June 3, 2018 রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে নারদ স্টিং অপারেশন ও সারদা আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ড বড়সড় বিড়ম্বনার কারণ। যদিও শাসকদলের শীর্ষনেতৃত্ত্বের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে গেরুয়া শিবির নারদ ও সারদা কাণ্ডে সিবিআইকে ব্যবহার করছে। কিন্তু বিজেপি শিবির এই দাবি নস্যাৎ করে জানিয়েছিল এই দুই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত হচ্ছে আদালতের নির্দেশে, সেখানে তাদের কোনো হাত নেই। কিন্তু ঘটনা যাই হোক, এই দুই কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে শাসকদলের অনেক হেভিওয়েট নেতার, এমনকি জেলেও যেতে হয়েছে অনেককে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নারদ কাণ্ড প্রকাশ্যে আসায় যথেষ্টই বিড়ম্বনায় পড়তে হয় শাসকদলকে, পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাটন ধরেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট জানান, আগে জানলে জড়িতদের টিকিট দিতেন না। সাধারণ মানুষকে বলেন, রাজ্যের ২৯৪ টি বিধানসভাতে তাঁকেই প্রার্থী ভেবে ভোট দিতে। যদিও পরবর্তীকালে জড়িতদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি তাঁদের অনেককেই মন্ত্রীত্ত্ব দেন – এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র প্রমানে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এই দুই মামলায় তদন্তের গতি শ্লথ হয়ে আসে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রমানের অভাবে আর তদন্তে আগে এগোতে পারছেন না তদন্তকারী অফিসাররা। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানান, কেন্দ্রীয় সরকার চুপ করে বসে নেই, তদন্ত চলছে, দোষীরা জেলে যাবে, একটু অপেক্ষা করুন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের জেরে জল্পনা চরমে উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। সামনের বছরেই লোকসভা নির্বাচন আর সেই নির্বাচনে বাংলায় ভালো ফল করার উদ্দেশ্যে উঠেপড়ে লেগেছে গেরুয়া শিবির। তাহলে সেই নির্বাচনের আগেই নতুন করে বিড়ম্বনা বাড়বে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের? জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে। আপনার মতামত জানান -