এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লকডাউন আরও শিথিল? এবার শপিং মল-মাল্টিপ্লেক্স খোলার তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গেল!

লকডাউন আরও শিথিল? এবার শপিং মল-মাল্টিপ্লেক্স খোলার তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গেল!


ভারতে করোনা প্রবেশের আদিকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় দেশজুড়ে লকডাউন। এই মুহূর্তে সারাদেশ লকডাউন এর তৃতীয় পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউন শেষ হতে চলেছে আগামী 17 ই মে। কিন্তু তারপরে লকডাউন যে বাড়বে, সে প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে দেশবাসীকে জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউনে কতটা কি বিধিনিষেধ শিথিল হবে, তা নিয়ে সর্বত্র চলছে চূড়ান্ত জল্পনা। তবে এবার লকডাউন এর তৃতীয় পর্যায় থেকেই দিল্লি জুড়ে লকডাউন শিথিল করার তোড়জোড় শুরু হলো বলে জানা গেছে।

রাজধানী দিল্লি করোনা আক্রান্ত প্রথম পাঁচটি শহরের মধ্যে অন্যতম ছিল বলে জানা গেছে। তাই 17 তারিখের পর রাজধানী দিল্লিতে লকডাউন শিথিল করার ব্যাপার নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলে যথেষ্ঠ আলোড়ন চলছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, দিল্লির কেজরিওয়াল সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে 17 তারিখের পর বিধিনিষেধ বেশ কিছুটা শিথিল করার জন‍্য একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। ওই প্রস্তাবে আগামী দিনে শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসগুলি খোলার ব্যাপারে প্রস্তাব রাখা হয়েছে বলে খবর।

তবে কেজরিওয়াল সরকারের পক্ষ থেকে করোনা সাবধানতায় সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও কেজরিওয়াল সরকারের পক্ষ থেকে দিল্লিতে নির্মাণকাজ শুরু করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, আগামী 17 ই মের পর রাজধানী দিল্লির বুকে দুজন যাত্রী নিয়ে ট্যাক্সি এবং বাস চলবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেভাবেই কেজরীওয়াল সরকার এগোচ্ছে বলে খবর। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দিল্লিতে যেকোনো শপিংমল খোলা হলেও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া অন্যান্য সামগ্রীর দোকান অড ইভেন পদ্ধতিতে খোলা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেও দিল্লিতে দূষণ আটকানোর জন্য একই পদ্ধতিতে গাড়ি চালিয়ে কিছুটা দূষণের মাত্রা কমানো গিয়েছিল বলে জানা গেছে। অন্যদিকে 17 ই মের পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের অর্থনীতিকে আবার চাঙ্গা করতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই নিয়ে ব্লুপ্রিন্ট রেডি হচ্ছে বলে জানা গেছে। এদিকে কেজরিওয়াল সরকার শহরের বুকে লকডাউন এর বিধি নিষেধ লঘু করার ব্যাপারে মতামত চেয়েছিলেন শহরবাসীর কাছে।

কিন্তু দিল্লির জনতা করোনা সংক্রমণ রোধে অত্যন্ত বেশি সাবধানী তা তাঁদের মতামতেই স্পষ্ট। কয়েকজন অবশ‍্য রেষ্টুরেন্ট খোলার ব্যাপারে মত দিয়েছেন। তবে রেস্টুরেন্টে খাবার জন্য নয়, সেখান থেকে খাবার বাড়িতে নিয়ে আসার কথা বলেছেন অনেকেই। অন্যদিকে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আগামী 18 ই মে থেকে নন কনটেইনমেন্ট জোনে কারখানা খোলার অনুমতি চাইলেন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে। কেজরিওয়াল সরকারের এই মতামত প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনা এখনো দেশ ছেড়ে বরাবরের মতো চলে যায়নি।

এই অবস্থায় যদি আবার দিল্লিতে সমস্ত কিছু খুলে দেওয়া হয়, তাহলে অবধারিতভাবে করোনা এবার দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পাওয়া শুরু হবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যেহেতু প্রথম থেকেই দিল্লি করোনা আক্রান্ত শহরগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে লক্ষণীয়, তাই সে কথা মাথায় রেখেই পরবর্তী সময়ে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করার কথা ভাবতে হবে বলে মত তাঁদের। আপাতত রাজধানী দিল্লি সহ গোটা দেশ কেন্দ্রীয় সরকারের মতামতের দিকেই লক্ষ্য রাখছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!