এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > রাজ্যের প্রাক্তন হেভিওয়েট মন্ত্রীর গেরুয়া শিবিরে পদার্পন কি সময়ের অপেক্ষা? বাড়ছে জল্পনা

রাজ্যের প্রাক্তন হেভিওয়েট মন্ত্রীর গেরুয়া শিবিরে পদার্পন কি সময়ের অপেক্ষা? বাড়ছে জল্পনা


সঠিক সময়ে নির্বাচন হলে লোকসভা ভোটের এখনও প্রায় মাস ছয়েক বাকি – নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটি আপাতত ব্যস্ত আসন্ন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা এই পাঁচ রাজ্যের ফলাফল দেখে নিয়ে লোকসভা ভোটের পরিকল্পনা রচনা করবেন গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতারা। কেননা, এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে দুটি বড় রাজ্যে – মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে, প্রবল প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া রয়েছে বলে বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে আসছে। আর যেহেতু, লোকসভা নির্বাচনের আগে এই পাঁচ রাজ্যের ভোটই শেষ বড় ভোট – তাই এইখানে পা-হড়কানো মানে লোকসভা নির্বাচনে প্রবল চাপ তৈরী হয়ে যাওয়া।

আর তাই, অমিত শাহ থেকে নরেন্দ্র মোদী – দফায় দফায় নজর দিচ্ছেন শুধুমাত্র ওই পাঁচ রাজ্যে। লোকসভা নির্বাচন বা অন্যান্য রাজ্য নিয়ে তেমন মাথাব্যথা আছে বলে – গেরুয়া শিবিরের অন্দরে অন্তত কোনো খবর নেই। ব্যতিক্রম শুধু একটিমাত্র রাজ্য – তা হল বাংলা। ঐতিহাসিকভাবে বাংলায় সে অর্থে কোনোদিনই বিজেপির প্রভাব ছিল না – কখনো-সখনো এক-দুটি লোকসভা আসন জুটেছে, কিন্তু তা যত না বিজেপি হাওয়ায় বা সাংগঠনিক শক্তির জেরে – তার থেকেও বেশি কোন স্থানীয় দলের হাত ধরার প্রভাবে। তা সে দলটির নাম তৃণমূল কংগ্রেসই হোক বা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।

কিন্তু, বর্তমানে বাংলায় পরিস্থিতি বদলাচ্ছে এবং তা অতি দ্রুত। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনেই প্রমাণিত – বামফ্রন্ট বা কংগ্রেসকে বহু যোজন পিছনে ফেলে, রাজ্যে আপাতত প্রধান বিরোধী দলের জায়গাটা ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপিই। আর একবার ‘রক্তের স্বাদ পেয়ে যাওয়া বাঘের’ মত কিছুতেই পিছু ফিরে তাকাতে চান না অমিত শাহ। যে বাংলায় এতদিন একটি বা দুটি আসন জিততে পারলেই অকাল হোলি খেলা হত ৬, মুরলীধর সেন লেনে – সেখানে একেবারে ২২ টি আসনে জেতার জন্য ঝাঁপাতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, যে কটি আসনে জয়লাভ সম্ভব হবে না – সেখানে অন্তত দ্বিতীয় হওয়ার কঠিন টাস্কও দিয়ে দিয়েছেন বিজেপির সর্ব-ভারতীয় সভাপতি।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আর সেই মুশকিল আসন করতে যে তাঁর প্রধান ভরসা তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগী মুকুল রায়ই – তা প্রমাণিত, মুকুলবাবুকে ইতিমধ্যেই বাংলার নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক ঘোষণা করার মাধ্যমে। আর দায়িত্ত্ব পেতেই নিজের মত করে ঘুঁটি সাজানো শুরু করে দিয়েছেন মুকুলবাবু। ইতিমধ্যেই তাঁর হাত ধরে পুরুলিয়ার প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক সাংসদ নরহরি মাহাতো গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়ে ফেলেছেন। তবে, মুকুলবাবুর অনুগামীদের দাবি চমকের এখানেই শেষ নয় – মুকুলবাবুর সঙ্গে একান্তে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছেন বর্তমান শাসকদলের এক হেভিওয়েট প্রাক্তন মন্ত্রী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্যস্তরের এক শীর্ষনেতাও এই বৈঠকের ব্যাপারে সদর্থক উত্তর দিলেন। তাঁর দাবি, উত্তরবঙ্গের ওই নেতা – শাসকদলের আভ্যন্তরীন রাজনীতিতে বেশ কোনঠাসা। কিন্তু, তিনি তাঁর নিজের এলাকায় রীতিমত দাপুটে – তবুও, দলে যোগ দেওয়া এক নবাগতর জন্য তাঁকে দলে কোনঠাসা করার প্রক্রিয়া চলছে। রীতিমত উচ্চশিক্ষিত ওই নেতা দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ – এমনকি বাম আমলেও তাঁকে হারানো সম্ভব হয় নি। সেই নেতার সঙ্গেই নাকি মুকুলবাবুর বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। আর সবথেকে বড় কথা মঞ্চ প্রস্তুত – দুই পক্ষই আলোচনার পর বেশ খুশি।

ওই নেতা আরও জানালেন, যেহেতু এখন উৎসবের মরশুম চলছে – তাই এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রাক্তন ওই মন্ত্রী বিজেপিতে যোগদান করতে চান না। তবে জগদ্ধাত্রী পুজো মিটে গেলেই তিনি বিজেপিতে যোগদান করছেন। আর ওই নেতার যা ক্যারিশমা – তাতে হয়ত তাঁর যোগদান হতে পারে স্বয়ং অমিত শাহের হাত ধরে। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের বর্তমান শাসকদলের যে যে অঞ্চলে ‘ড্যামেজ’ ছিল, সেখানে এতদিন ‘গায়ের জোরে’ ভোট করতে না দিয়ে ধামাচাপা দিয়ে রাখার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু, রাজ্যের এই প্রাক্তন মন্ত্রীর যোগদানের পরে, সেখানে শাসকদলের সংগঠন ‘হুড়মুড়’ করে ভেঙে পড়বে। আর তাই সবমিলিয়ে নতুন নেতার আবির্ভাব ঘিরে এখন তীব্র জল্পনা ছড়িয়েছে রাজ্য বিজেপির অন্দরমহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!