এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > বিরোধীদের পর সরকারি কর্মচারীরা পঞ্চায়েত নিয়ে রাজ্যকে অস্বস্তিতে ফেলতে চলেছেন?

বিরোধীদের পর সরকারি কর্মচারীরা পঞ্চায়েত নিয়ে রাজ্যকে অস্বস্তিতে ফেলতে চলেছেন?

পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ইতিমধ্যেই বিরোধীদের করা মামলার জেরে বিশ বাঁও জলে। আর এবার কি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের করা মামলায় তা আরও জটিল হতে চলেছে? নির্বাচনের কাজে হাত লাগাতে হয় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের, এক কথায় গোটা নির্বাচন যুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের প্রধান সহায় এই রাজ্য সরকারি কর্মচারীরাই। অথচ রাজনৈতিক কর্মীদের উত্তেজনার ফলে নির্বাচন চলাকালীন কোনো কোনো সময় গুরুতরভাবে আহত হতে হয় তাঁদের। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রাণও যায় তাঁদের। আর তাই এবার নির্বাচন চলাকালীন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সুরক্ষার প্রশ্নে কেন্দ্রিয়বাহিনীর দাবিতে মামলা হতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্টে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

বিজেপি প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিস শীল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সুরক্ষার এই ব্যাপারটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই তিনি দুই বিজেপি শীর্ষনেতা জয়প্রকাশ মজুমদার ও কনক দেবনাথকে নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে দেখা করে কেন্দ্রিয়বাহিনীর দাবি জানিয়ে এসেছেন। কমিশন এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে তাঁদের ১০ দিনের মধ্যে জানাবেন বলে কথা দেন। কিন্তু গত শুক্রবার সেই ১০ দিনের সময়সীমা শেষ হয়ে গেলেও কমিশনসূত্রে কিছু জানানো হয় নি। আর তাই গত সোমবার দেবাশিসবাবু কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন জমা করেন। আদালত তা গ্রহণ করে প্রধান বিচারপতির এজলাসে আজ সেই মামলার শুনানির দিন ধার্য্য করে।

এই ব্যাপারে প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফে বিজেপি প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিস শীলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের নিজস্ব রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকলেও, তাঁরা কোনো রাজনৈতিক দলের অংশ নন। নির্বাচনের এই মহাযজ্ঞে তাঁরাই প্রধান পুরোহিত, অথচ তাঁদের নিরাপত্তার ব্যাপারটিই সবথেকে বেশি উপেক্ষিত। পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে রাজ্যের প্রতিটি কোনা থেকে যেভাবে রাজনৈতিক হানাহানির ছবি উঠে এসেছে তাতে আমরা ভীত। ইতিমধ্যেই বিরোধী প্রার্থী ভেবে সরকারি কর্মচারী দেবাশীষ মুখার্জির উপর অকথ্য অত্যাচার করেছে রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। এককথায় পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা, সরকারি কর্মচারীরা রীতিমত ভীত। নির্বাচন কমিশনও আমাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে কিছু আশ্বাস দিতে পারে নি। আর যেহেতু বিগত পঞ্চায়েত গুলোর দিকে তাকালেই স্পষ্ট হয় যে ভোটকর্মীদের সুরক্ষা দেওয়ার মত যথাযথ প্রশিক্ষণ রাজ্য পুলিশের নেই, তাই নিজেদের প্রাণ রক্ষার্থে মাননীয় আদালতের কাছে আমরা কেন্দ্রিয়নাহিনীর দাবি জানিয়েছি। মাননীয় প্রধান বিচারপতি আজ সেই মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছেন। আশাকরি নির্বাচনের সময় রাজ্য সরকারি কর্মীদের সুরক্ষিত করতে তিনি আমাদের দাবিকে মান্যতা দেবেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!