এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শুভেন্দুর হাত ধরে কি তৃণমূলে বিশাল ভাঙ্গন ধরতে চলেছে? আশা-আশঙ্কার দোলাচলে দলীয় কর্মীরাই!

শুভেন্দুর হাত ধরে কি তৃণমূলে বিশাল ভাঙ্গন ধরতে চলেছে? আশা-আশঙ্কার দোলাচলে দলীয় কর্মীরাই!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে এখন জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। অনেকেই বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছেন এবং যেভাবে অরাজনৈতিক সভায় যোগ দিচ্ছেন, তাতে তার সঙ্গে দ্রুত দলের বিচ্ছেদ ঘটতে পারে। আর রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীকে নিয়ে এখন আশা-আশঙ্কায় প্রহর গুনতে শুরু করেছে শাসক দল।

অনেকেই বলছেন, যদি শুভেন্দু অধিকারী দলের সঙ্গে আরও দূরত্বকে বৃদ্ধি করে দলত্যাগের মত সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তা তৃনমূলের কাছে বড় ফাটলের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। নন্দীগ্রাম দিবসে তার অরাজনৈতিক মঞ্চে উপস্থিতি এবং সেখান থেকে নাম না করে দলের কারও কারও প্রতি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য নিঃসন্দেহে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে চিন্তা বৃদ্ধি পেল তৃণমূল কংগ্রেসের।

অনেকে বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী লড়াই করা নেতা। বাম আমলে সিপিএমের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে নন্দীগ্রামে লড়াই দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তার পরবর্তীতে দক্ষ সাংগঠনিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন শুভেন্দুবাবু। শুধু মেদিনীপুর নয়, গোটা রাজ্যেই তার যথেষ্ট বিস্তৃতি রয়েছে। যেখানে যখন তৃণমূল কংগ্রেস সমস্যায় পড়েছে, তখন সেখানে মুশকিল আসান হয়ে উঠেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এহেন শুভেন্দু অধিকারীকে দল গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দেবে বলে মনে করা হলেও, শেষ পর্যন্ত তাকে সেরকম কোনো জায়গা দেওয়া হয়নি। আর তারপর থেকেই দল এবং সরকারের সঙ্গে ক্রমাগত দূরত্ব তৈরি করতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীকে। যেভাবে নন্দীগ্রাম দিবসের দিন পৃথক সভায় উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রেখেছেন শুভেন্দু অধিকারী তাতে তার সেই বক্তব্য নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে।

অনেকে বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী এই সভা থেকে মন্তব্য করেছেন, “13 বছর পর নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়েছে!” অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর সভার পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস সভা করেছে। আর সেই সভার দিকে ইঙ্গিত করেই শুভেন্দুবাবু এই ধরনের মন্তব্য করেছেন বলে দাবি করছেন একাংশ। ফলে যত দিন যাচ্ছে, ততই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে সমস্যায় পড়তে শুরু করেছে শাসক দল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি দ্রুত শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস আলোচনায় না বসে, তাহলে সমস্যা আরও বেগতিক হয়ে উঠতে পারে। কেননা গোটা রাজ্যে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী এবং তার কথা শুনে চলার মত অনেক জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। ফলে তিনি যদি আগের মত কোনো সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তার পথ অনেকেই অনুসরণ করতে পারেন।

যা আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে খুব একটা সুখকর হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, দলের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর এই দূরত্ব আরও বৃদ্ধি পায়, নাকি তৃণমূল ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সমস্ত দূরত্বকে মিটিয়ে নেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!