এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > এবার কি সূর্যের আলোতেই শেষ হবে করোনার ভয়ঙ্কর সংক্রমণ? বিজ্ঞানীদের নতুন গবেষণায় আশার আলো

এবার কি সূর্যের আলোতেই শেষ হবে করোনার ভয়ঙ্কর সংক্রমণ? বিজ্ঞানীদের নতুন গবেষণায় আশার আলো

বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে করোনা পরিস্থিতি এতটাই মারাত্মক অবস্থায় পৌঁছে গেছে যে প্রত্যেকেই এই করোনার হাত থেকে বাঁচার রাস্তা খুঁজে চলেছেন। ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে বিভিন্ন ওষুধ, অ্যান্টিভাইরাস আবিষ্কার করতে দিনরাত এক করে চলেছেন। করোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ও ঘটনা বিভিন্ন সময় প্রকাশ পাচ্ছে। এবার ইউ এস ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিওরিটিস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ডিরেক্টরেটের প্রধান উইলিয়াম ব্রায়ান অন্য কথা শোনালেন।

তাঁর মতে করোনা ভাইরাস তার কার্যক্ষমতা অতিরিক্ত গরমে এবং আর্দ্র আবহাওয়ায় হারিয়ে ফেলে। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, গরমকাল যেহেতু চলে এসেছে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে, তাই করোনা আর খুব বেশিদিন এই মারাত্মক অবস্থায় থাকবেনা। এদিন হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে ব্রায়ান জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে দিনরাত কাজ করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষকদের দাবি, ঘরের মধ্যে শুকনো এবং বদ্ধ পরিবেশে এই করোনা ভাইরাস সব থেকে বেশি কাজ করে।

কিন্তু বাইরে রোদের মধ্যে দাঁড়ালে বা সরাসরি সূর্যের আলো পড়লে করোনার কর্মক্ষমতা কমে যায়। এবং ধীরে ধীরে ভাইরাসটি নিঃশেষ হয়ে যায়। অবশ্য এই তথ্যের পেছনে অন্য একটি সূত্র কাজ করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বেশকিছু বিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকে দাবী করা হচ্ছে, নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা ও করোনার লক্ষণগুলি প্রায় এক। সেদিকে তাকিয়ে বলাই যায়, গরমে যদি নিউমোনিয়া এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের কোন লক্ষণ না দেখা যায়, তাহলে করোনারও কোনো লক্ষণ দেখা যাবে না।

কিন্তু অন্যদিকে আবার সিঙ্গাপুরের মতন গরম দেশেও দেখা যাচ্ছে, করোনা ভাইরাস সমানভাবে সক্রিয়। আপাতত করোনার এই লক্ষণ বিজ্ঞানীদের নতুন করে চিন্তায় ফেলছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই রিপোর্টকে সমর্থন জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তাঁর মতে, এই রিপোর্ট সরকারিভাবে প্রকাশের আগে অবশ্যই যথাযথ তথ্য মানুষের সামনে তুলে ধরা প্রয়োেই। অন্যদিকে বিজ্ঞানীদের দাবি, স্টেনলেস স্টিল এর মতো জায়গায় নিজেদের কর্মক্ষমতা হারায় করোনা 18 ঘন্টায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেখানে উচ্চ আর্দ্র জায়গায় সেই সময় লাগে 6 ঘন্টা। এর ওপর যদি রোদ পড়ে প্রচন্ড, তাহলে মাত্র 2 মিনিট লাগবে করোনাভাইরাস নিঃশেষ হতে পারে। সূত্রের খবর, ভিটামিন-ডি মানব শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে কিনা তা নিয়ে দীর্ঘ 10 সপ্তাহের একটি ট্রায়াল চালাচ্ছিলেন বিজ্ঞানীরা বলে জানা গেছে। এই পরীক্ষা দুইশ জন আক্রান্তের শরীরে চলেছে বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে জানা গেছে, এই পরীক্ষা চালাচ্ছিলেন গ্রানাডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

ভিটামিন ডি মানব শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে কিনা তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পরীক্ষা চালাচ্ছেন ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজের গবেষকরা। তাঁদের দাবি, যেকোনো পূর্ণবয়স্ক মানুষ যদি ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খান, তাহলে তাঁরা ফুসফুস জনিত রোগে অনেক কম আক্রান্ত হবেন। অন্যদিকে সাসেস্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জেন্না ম্যাকিওশি জানিয়েছেন, যদি কোনো মানুষের শরীরে প্রয়োজনীয় হারে ভিটামিন ডি উপস্থিত থাকে, তাহলে দেখা যাবে, অন্য মানুষের তুলনায় ভিটামিন ডি ক্ষমতা সম্পন্ন শরীরটি তিন থেকে চার গুণ কম ঠান্ডা লাগার অসুখে ভুগবেন।

ইতিমধ্যেই এই তথ্য প্রমাণিত হয়েছে। আর তার ওপর নির্ভর করেই এবার বিজ্ঞানীদের নতুন ভাবনা, যেহেতু করোনা ভাইরাস নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়ায়, তাই ভিটামিন ডি কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে কিনা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে তা আপাতত পরীক্ষা সাপেক্ষ। বিভিন্ন তথ্য বিভিন্ন ভাবে প্রকাশ পেলেও, এখনো পর্যন্ত করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এই মুহূর্তে সারা বিশ্বের মানুষ চরম আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছেন। এই সময় প্রয়োজন একটা প্রতিষেধকের। দাবি করা হচ্ছে, বিভিন্ন দেশ যেভাবে প্রতিষেধক ও ওষুধের জন্য দিনরাত গবেষণা করে চলেছেন, তাতে হয়তো আর কিছুদিনের মধ্যেই করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার হতে চলেছে। যা মানুষের মুখে আবার হয়তো হাসি ফিরিয়ে আনবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!