প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একসময় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পর্যবেক্ষক ছিলেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রাক্তন পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। অমিত শাহের বাসভবনে গিয়ে গলায় পড়ে নিয়েছেন উত্তরীয়। আর এই পরিস্থিতিতে সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগদান করতেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের বহিস্কৃত নেতা তথা প্রাক্তন জেলার কার্যকরী সভাপতি শুভাশিস পাল বেসুরো হতে শুরু করলেন।

যার ফলে আগামী দিনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বড়সড় ভাঙ্গন ধরতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। বস্তুত, তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর বেশ কিছু দিন নীরব ছিলেন এই শুভাশিস পাল। কিন্তু শনিবার প্রকাশ্যে হরিরামপুরে নিজের কয়েক হাজার অনুগামীদের নিয়ে বৈঠক করতে দেখা যায় তাকে। আর সেখানেই প্রকাশ্যে সভা করে রীতিমত বিস্ফোরক মন্তব্য করেন এই বহিস্কৃত তৃণমূল নেতা।

তিনি বলেন, “আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে আমাকে বাদ রেখে তৃণমূল কোনো আসনে জিততে পারবে না। আমাকে সসম্মানে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হোক। রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হল জনগণের উপকার করা। যোগ্য মর্যাদা দিয়ে ফিরিয়ে না নিলে যে প্ল্যাটফর্মে মানুষের উপকার করতে পারব, সেই প্ল্যাটফর্মে যাব।” শুধু তাই নয়, আগামী 16 ফেব্রুয়ারি তিনি তার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন এই বহিস্কৃত তৃণমূল নেতা।

স্বাভাবিকভাবেই শুভাশিস পালের এই ধরনের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে। একাংশ বলছেন, দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পরেও এদিন সভা করে শুভাশিসবাবু প্রমাণ করে দিলেন, তার সঙ্গে কর্মীসমর্থকরা রয়েছে। শুধু তাই নয়, দল যদি তাকে এখনও পর্যন্ত গ্রহণ না করে, তাহলে যে ভবিষ্যতে তিনি বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তাও নিজের এই সভা থেকে বুঝিয়ে দিলেন তিনি।

যার ফলে অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, শুভাশিস পাল আসলে তৃণমূল কংগ্রেসকে বার্তা দিয়ে তাকে দলের সক্রিয় করার কথা বোঝাতে চাইলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের তরফে সেরকম কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। তাই এই পরিস্থিতিতে যদি দল তাকে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে কোনো চিন্তাভাবনা না করে, তাহলে তিনি যে পদক্ষেপ নেবেন তা যে তৃণমূলের ক্ষেত্রে বড় চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।