এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দুমাসের মধ্যেই তৃণমূলের ২ হেভিওয়েটের নেতৃত্বে বড় ভাঙন? গঠিত হচ্ছে নতুন দল? চরমে উঠল জল্পনা

দুমাসের মধ্যেই তৃণমূলের ২ হেভিওয়েটের নেতৃত্বে বড় ভাঙন? গঠিত হচ্ছে নতুন দল? চরমে উঠল জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার কি বাংলায় বড়সড় রাজনৈতিক ভূমিকম্প হতে চলেছে! আরও আশ্চর্যের বিষয় যে, সেই ভূমিকম্প অন্য কোনো রাজনৈতিক দলে নয়, খোদ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরেই হতে পারে। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, রাজ্যের শাসকদলের দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী ও এক হেভিওয়েট বর্ষীয়ান সাংসদের নতুন কোনো রাজনৈতিক চিন্তা ভাবনায় রয়েছে। আর এই ঘটনা নিঃসন্দেহে ব্যাপক গুঞ্জনের সৃষ্টি করেছে শাসকদলের অন্দরমহলে।

অনেকে বলছেন, যে তিনজনের নাম নিয়ে সবথেকে বেশি জল্পনা চলছে তৃণমূলে, সেই তিনজন হেভিওয়েট ব্যক্তি যদি সত্যি সত্যিই দলবদলের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, তাহলে 2021 সাল তৃণমূলের কাছে ভয়ঙ্কর বিপদ হিসেবে আসতে পারে। কেননা যে তিনজনের নাম নিয়ে সবথেকে বেশি চর্চা চলছে, তারা যদি দলবদলের মত সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তাদের পথ অনুসরণ করে তৃণমূলের একাধিক জনপ্রতিনিধি জার্সি বদল করবেন বলে জল্পনা।

আর এই তিন হেভিওয়েট ব্যক্তি যদি গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেন, তাহলে বিজেপি যে 2021 এ ক্ষমতায় আসছে, সেই ব্যাপারে সংশয় নেই কারোরই। বিভিন্ন মহলে ইতিমধ্যেই খবর ছড়িয়ে পড়েছে যে, তৃণমূলের 12 জন সাংসদ এবং 70 জন বিধায়ককে নিয়ে একটি নতুন দল তৈরি করা হতে পারে। আর দক্ষিণবঙ্গের এক হেভিওয়েট মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা এই নতুন দল তৈরির জন্য সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনা সত্যিটা হলে, স্বাভাবিকভাবেই এটা পরিষ্কার যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে বড়সড় রাজনৈতিক সমীকরণের বদল ঘটতে চলেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, গত লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়কাল থেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। প্রায় প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললেই প্রথম পাতার খবরের দিকে নজর থাকত রাজনৈতিক সচেতন মানুষদের। যেখানে দেখা যেত প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো হেভিওয়েট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দিল্লির বিমানে উড়ে যাচ্ছেন। আর দুপুরবেলা বিজেপির সর্বভারতীয় সদর দপ্তরে সেই সমস্ত নেতা, জনপ্রতিনিধিদের হাতে পদ্ম ফুলের পতাকা নিয়ে ছবি সহ খবর সামনে আসত। এর ফলে তৃণমূলের অন্দর মহলে ব্যাপক ভয়ের সৃষ্টি হয়েছিল বলে দাবি ছিল গেরুয়া শিবিরের।

মুকুল রায়-দিলীপ ঘোষদের দাবি মত, সেই সময় প্রায় প্রতিদিন তৃণমূল নেতৃত্বকে এই আশঙ্কায় থাকতে হত যে, আজ আবার তাদের উত্তেজনা বাড়িয়ে কোন ব্যক্তি ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন। তবে সাম্প্রতিককালে অবশ্য সেই যোগদান পর্ব তেমন ভাবে দেখা যায়নি। কিন্তু এবার বিধানসভা নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসতে না আসতেই যেভাবে তৃণমূলের অন্দরমহলে বিক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে এবং তার ফলে দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী এবং এক প্রবীণ তৃণমূল নেতা তথা সাংসদের নতুন রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে কথা চলছে, তাতে নিঃসন্দেহে অস্বস্তি তৈরি হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরে বলে অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

যদি এই তিন হেভিওয়েট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অন্য দলে যোগদান করেন, তাহলে তৃণমূলের অস্বস্তি যেমন বাড়বে, ঠিক তেমনই তারা যদি পৃথক কোনো রাজনৈতিক মঞ্চ খুলে বসেন, তাহলে তৃণমূলের পাশাপাশি ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়বে ভারতীয় জনতা পার্টিও। তবে সবটাই অবশ্য জল্পনার পর্যায়ে রয়েছে। কেননা রাজনীতিতে কখন কোন সমীকরণ সামনে আসবে, তা আগে থেকে নিশ্চিত করেই বলা যায় না। তবে যতটুকু আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তাতে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে বড়সড় বিপর্যয় ঘটতে পারে বলেই অভিমত রাজনীতির কারবারিদের।

এই নিয়ে কেউই সরকারিভাবে এখনও কোনও মুখ খোলেননি। কিন্তু, এই দুই মন্ত্রীর মধ্যে একজন দীর্ঘদিন ধরেই দলের উপরতলার উপর যে ক্ষুব্ধ – তা তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট করে দিয়েছেন। দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতেও তাঁকে দেখা যায় নি। অন্যদিকে, অত্যন্ত স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অপর মন্ত্রী সম্প্রতি দলের দুর্নীতি নিয়ে প্রকাশ্যেই সরব হয়েছেন। বাংলার রাজনৈতিক মহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, এঁদের সঙ্গে দলের একটা বড়সড় বিক্ষুব্ধ অংশ নাকি যোগাযোগ রেখে চলেছেন।এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সত্যি সত্যিই তৃণমূলের স্নায়ুচাপ বাড়িয়ে এই রকম কোনো ঘটনা ঘটে কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সমগ্র রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!