এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ৯ তারিখের পর বদলাবে সমীকরণ? খোলনলচে বদলে যাবে বঙ্গ-বিজেপির আন্দোলনের?

৯ তারিখের পর বদলাবে সমীকরণ? খোলনলচে বদলে যাবে বঙ্গ-বিজেপির আন্দোলনের?


আগামী ৮ ও ৯ ই সেপ্টেম্বর দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক – আর তারপরেই একাধিক বড় পরিবর্তন হতে পারে দলে বলে সূত্রের খবর। দেশের বাকি রাজ্যে – সংগঠন নিয়ে সেভাবে ঝড় না উঠলেও, দুটি রাজ্য নিয়ে মূলত তোলপাড় হতে যাচ্ছে সেই বৈঠক বলে সূত্রের খবর। বৈঠকে সবথেকে বেশি সময় ব্যয় হতে পারে রাজস্থান ও পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে বলেই জানা যাচ্ছে।

রাজস্থানে – সামনেই বিধানসভা নির্বাচন, আর তার আগে বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে সে রাজ্যে ক্ষমতাচ্যুত হতে পারে বিজেপি। আর তা যদি হয়, লোকসভা নির্বাচনের আগে তা বড় ধাক্কা হতে পারে গেরুয়া শিবিরের। আর তাই সেখানকার রাজ্য সভাপতি ও অন্যান্য সাংগঠনিক পদ নিয়ে বেশ ভালো রকমের জলঘোলা হতে চলেছে। কিছুতেই নাকি ঐক্যমতে পৌঁছতে পারছেন না অমিত শাহ ও বসুন্ধরা রাজে। আর তাই রাজস্থান নিয়ে ঝড় উঠতে চলেছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি।

তবে রাজস্থানের থেকেও বড়সড় ঝড় উঠতে চলেছে বাংলা নিয়ে। অমিত শাহ বারেবারে দুটি পাঠিয়ে তো বটেই এমনকি নিজে এসে বাংলার পরিস্থিতি পরিমাপ করে গেছেন। তিনি এবং বাংলার পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় একমত যে বাংলায় সাধারণ মানুষ পরিবর্তন চাইছেন। যা আজ পর্যন্ত কোনোদিন হয় নি – সেই বিজেপির উপর সাধারণ মানুষের সমর্থনের একটা চোরাস্রোত বইছে। মানুষ চাইছেন বাংলায় এবার পদ্ম ফুটুক।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কিন্তু, সাধারণ মানুষ নাকি ভরসা পারছেন না – কেননা একের পর এক ‘ফুলটস’ রাজ্যের শাসকদল বিজেপির হাতে তুলে দিলেও তা নিয়ে রাজ্য-কাঁপানো রাজনীতি করতে একপ্রকার ব্যর্থ বেশ কিছু শীর্ষ নেতা। ২০০৬ এর পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে তীব্র আন্দোলনের ঝড় তুলে তৎকালীন শাসকদল বামফ্রন্টকে কোনঠাসা করে ফেলেছিলেন – বর্তমানে একই পরিস্থিতিতে বাং-বিজেপি যে আন্দোলন করছেন তা যেন নমো নমো করে দায়সারা কাজ যেন।

সবথেকে বড় কথা, বাংলায় একের পর এক রাজনৈতিক খুন হচ্ছে – মারা যাচ্ছেন দলীয় কর্মীরা। অথচ বিজেপি নেতারা কোনোরকমে মৃতদের বাড়িতে গিয়ে একটু কথা বলে, সেখানে একটা ছোট সভা করেই থেমে যাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় কর্মীদের মৃতদেহ কলকাতায় এনে, বড় মিছিল করে শহর প্রায় অবরুদ্ধ করে ফেলেছিলেন – আর যার প্রভাব পড়েছিল সমগ্র রাজ্যে। সমস্ত মিডিয়া – একপ্রকার বাধ্য হয়েছিল সেসব কভার করতে। রাজ্য বিজেপির, একটি অংশের মত – আমরা মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করি না।

কিন্তু সূত্রের খবর, অমিত শাহের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙেছে, দলীয় স্তরে নাকি বার্তা এসেছে – যস্মিন দেশে যদাচর! আর তাই পাল্টাতে হবে দলীয় নেতাদের ‘বডি-ল্যাংগুয়েজ’, হতে হবে চূড়ান্ত আগ্রাসী। দলীয়স্তরে নাকি বার্তা এসেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল কংগ্রেস কোনো ছোটোখাটো বা দুর্বল প্রতিপক্ষ নয়। তাদের আটকে দিয়ে রাজ্যে থেকে অর্ধেকের বেশি লোকসভা আসন বের করতে হলে পাল্টাতে হবে অনেক কিছুই – আর সেই সবই নাকি চূড়ান্ত হতে চলেছে জাতীয় কমিটির বৈঠকে। আর তাই হাতে যেহেতু সময় কম – বৈঠকের শেষেই আন্দোলনের নতুন গতি-প্রকৃতি চূড়ান্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়তে নির্দেশ দেওয়া হবে বঙ্গ-বিজেপির নেতাদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!