এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নির্বাচন ঘোষণা হলেই কি আজ সন্ধ্যে থেকে বদলে যাবে বঙ্গ-রাজনীতির চালচিত্র? বাড়ছে জল্পনা

নির্বাচন ঘোষণা হলেই কি আজ সন্ধ্যে থেকে বদলে যাবে বঙ্গ-রাজনীতির চালচিত্র? বাড়ছে জল্পনা

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – গত ১৯ শে জানুয়ারি কলকাতা ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে এক জনসমাবেশের আয়োজন করে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস দেশজোড়া মোদী-বিরোধী হাওয়া তোলার প্রচেষ্টা করে। সেই সভায় শুধু তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বই নয়, হাজির হয়েছিলেন সারা ভারতের সকল বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদী বিরোধী দলগুলির প্রধানেরা। কিন্তু তার আগেই জল্পনা ছড়ায়, যে একদিকে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদী বিরোধী হাওয়া তুলবেন, ঠিক সেইদিনই দিল্লিতে একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়ে সেই হাওয়া কেড়ে নেবেন।

এমনকি, ১৯ শে জানুয়ারির আগে রীতিমত তালিকা প্রকাশ হয়ে যায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে, যেখানে ইঙ্গিতে লেখা হতে থাকে কে বা কারা তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যাচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রিগেডে সভা করলেও, তৃণমূল থেকে কেউ আর বিজেপিতে যোগদান করেননি। পরে এই নিয়ে বিজেপির এক রাজ্যস্তরের শীর্ষনেতার সঙ্গে আলোচনায় উঠে আসে, ওই ঘটনার কিছুদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। আর তারপরেই তাঁর বিরুদ্ধে একে একে ৯ টি মামলা দায়ের করা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সৌমিত্রবাবুর নিজের মত তো বটেই, বিজেপিও মত – ওই সবকটি মামলায় আদতে ‘মিথ্যা মামলা’। সৌমিত্রবাবু দল ছাড়ার কারণেই তাঁকে ঐভাবে মিথ্যা মামলায় ‘ফাঁসানো’ হচ্ছে। আর যেহেতু, পুলিশ বা প্রশাসন রাজ্য সরকারের হাতে, তাই সেই মুহূর্তে আর কোনও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রী দল ছাড়ার কথা ভাবেননি। ওই বিজেপি নেতার আরও দাবি ছিল, একবার নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেলে – চালু হয়ে যাবে আদর্শ নির্বাচনী বিধি। ফলে, পুলিশ বা প্রশাসন আর রাজ্য সরকারের অধীনস্ত থাকবে না, তা নিয়ন্ত্রণ করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ফলে, তখন আর এই ধরনের ‘মিথ্যা মামলায়’ কাউকে ‘ফাঁসানো’ যাবে না। ফলে তখনই শাসকদলের নেতারা বিজেপিতে যোগদান করবেন।

এমনকি, পরবর্তীকালে বিজেপির তরফে বাংলার নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মুকুল রায় বেশ দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছিলেন, একবার নির্বাচনটা ঘোষণা হতে দিন – দেখবেন তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের লাইন পরে যাবে। আর অবশেষে আজই সেই কাঙ্খিত দিন, যেখানে আর কিছুক্ষনের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে দেবে নির্বাচনী নির্ঘন্ট – চালু হয়ে যাবে আদর্শ নির্বাচনী বিধি। তাহলে কি গেরুয়া শিবিরের দাবি মত, আজ থেকেই রাজ্য-রাজনীতি দেখবে দলবদলের চমক? নাকি সবটাই ‘ফাঁকা আওয়াজ’ হয়েই থেকে যাবে? উত্তর পাওয়ার জন্য অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক ঘন্টার – তারপরেই মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে যাবে বাংলা থাকবে কার দখলে? বাংলা কি আবারো ঘাসফুলময় হবে নাকি দেখা যাবে প্রবল গেরুয়া উত্থান – সবকিছু স্পষ্ট হতে শুরু করবে আজ নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!