এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিজেপির হয়ে আর টিকিট পাবেন না এই হেভিওয়েটরা? জল্পনা চরমে

বিজেপির হয়ে আর টিকিট পাবেন না এই হেভিওয়েটরা? জল্পনা চরমে

সামনেই লোকসভা ভোট – আর সেখানে পুনরায় জয় লাভ করে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে মরিয়া নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি। কিন্তু, এবারের কাজটা যে মোটেই সহজ নয় তা বিগত বেশ কিছু নির্বাচনের ফলাফলেই প্রমাণিত। প্রথমত, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি মানুষকে ‘আচ্ছে দিনের’ স্বপ্ন ফেরি করেছিল – কিন্তু, ২০১৯-এ এসে মানুষ রায় দেবেন, বিজেপির দেখানো স্বপ্ন সত্যিই কতটা পূরণ হয়েছে তার মাপকাঠিতে।

তাছাড়া, বিজেপির অশ্বমেধের ঘোড়া থামাতে দীর্ঘদিনের বৈরিতা ভুলে সব বিরোধীরা একজোট হয়ে পড়ছে। ফলে বিগত বেশ কয়েকটি উপনির্বাচনে দেখা গেছে বিজেপির ভোট আগের থেকেও বেড়েছে – কিন্তু সম্মিলিত বিরোধী শক্তির ভোট এক জায়গায় হওয়ায় পরাভূত হতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। এর মধ্যে সব থেকে বড় ধাক্কা সম্প্রতি হয়ে যাওয়া গো-বলয়ের নির্বাচন। সেখানে বিজেপির গড় বলে পরিগণিত হওয়া তিন রাজ্য মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে শেষ হাসি হেসেছে কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই দেখা যাচ্ছে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে বেশ কঠিন অঙ্ক হতে চলেছে। লোকসভা নির্বাচনে জিততে সম্প্রতি দলীয় সাংসদদের নিয়ে বিজেপি নিজেদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে একটি সমীক্ষা করে। এই সমীক্ষা প্রথম পরীক্ষামূলক ভাবে করা হয় গো-বলয়ের তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে। সেখানে যে ফলাফল উঠে আসে, তাকে কিছুটা সরিয়ে রেখেই যাঁদের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ক্ষোভ ছিল তাঁদেরও টিকিট দেওয়া হয়। কিন্তু ফলাফল বেরোলে দেখা যাচ্ছে – ওই নেতারা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে।

ফলে সেই সমীক্ষাকে কিছুতেই আর খাটো নজরে দেখতে পারছে না গেরুয়া শিবির। এদিকে, লোকসভার জন্য যে সমীক্ষা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে দলের প্রায় ৬০% সাংসদের উপর ক্ষুব্ধ দলীয় নেতা-কর্মীরা। আর সবথেকে বড় কথা – এই সাংসদদের মধ্যে মধ্যে বেশ কয়েকজন বড় মাপের নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রয়েছেন। এই সমীক্ষাকে মান্যতা দিয়ে এবার তাই অনেককেই আর টিকিট দিচ্ছে না বিজেপি। কিন্তু, মুশকিল হচ্ছে ওই হেভিওয়েট নেতাদের নিয়ে। কেননা এঁদের টিকিট না দিলে এঁদের সমর্থকরা নির্বাচনের মুখে বসে যেতে পারেন বা বিরোধী দলকে সাহায্য করতে পারেন। আবার টিকিট দিলেও – দলের একটা বড় অংশ ক্ষুব্ধ হয়ে বিপরীত দিকে ভোট দেবেন। ফলে, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের এখন শ্যাম রাখি না কুল – সেই কঠিন সিদ্ধান্তের মুখে এসে দাঁড়াতে হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!