কুনাল, ছত্রধর, গুরুংয়ের পর এবার কি তৃণমূলের পথে এই মহারথী? মমতার নয়া পদক্ষেপে বাড়ছে জল্পনা কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য October 23, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলার রাজনীতিতে এখন ঘটছে উলটপুরান। যেসব নেতা-নেত্রীরা একসময় তৃণমূল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, তাঁরা এবার ফেরার পথ ধরেছেন। ইতিমধ্যে দলে ফিরে এসেছেন কুনাল ঘোষ, ছত্রধর মাহাতো এবং সর্বশেষ পঞ্চমীর সন্ধ্যায় বিমল গুরুং তৃণমূলকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। আর এবার নতুন গুঞ্জন শুরু হয়েছে অন্যতম বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তার বান্ধবী বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে। গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে তুমুল হইচই হয় শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূল শিবিরের বিচ্ছেদ নিয়ে। বরাবরই দেখা গেছে, শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলের সঙ্গে টানাপোড়েনে ভুগেছেন যেমন, তেমনই একইসাথে তাঁর দাম্পত্য সমস্যাও সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। গেরুয়া শিবিরে থেকেও শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বারেবারে তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তা নিয়ে বিজেপি শিবিরেও শুরু হয়েছে চাপানউতোর। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার জন্য বহুবার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু শোভনের দিক থেকে সেভাবে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র তিনি বিজেপিতে আছেন- এটুকু বলেই দায় সেরেছেন। কিন্তু গতবছরের কালীপূজার পর ভাইফোঁটার সময় হঠাৎই শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে যান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বাড়িতে। কখনো আবার নেত্রীর নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে শোভন পৌঁছে যান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের আঙিনায়। এসবের মাঝেও গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকেও শোভনের সঙ্গে আরও বেশি যোগাযোগ রাখার চেষ্টা চালানো হয়।সবমিলিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপি এবং তৃণমূল এর মাঝখানে দোদুল্যমান অবস্থায় রয়েছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এরমধ্যে এবার পুজোর সময় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জন্য কুর্তা পাজামা এবং বৈশাখের জন্য শাড়ি উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী। যা নিয়েও শোরগোল শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। পাল্টা শোভন-বৈশাখীর পক্ষ থেকেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য উপহার হিসেবে শাড়ি গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উপহার পেয়ে আপ্লুত বৈশাখী ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁকে। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই কিন্তু একুশের নির্বাচনের আগে মমতাকে ক্ষিপ্রতার সংগে দলে বদল আনতে দেখছেন। শোভন-বৈশাখীকে উপহার পাঠানো তাঁরই অঙ্গ কিনা তা নিয়ে ধন্দে সবাই। সব মিলিয়ে শোভন বৈশাখী কোন দিকে যেতে চলেছেন তা এখনও পরিষ্কার নয়। অন্যদিকে দেখা গেছে কুনাল ঘোষ, ছত্রধর মাহাতো তৃণমূলে ফিরে এসেই কিন্তু এক একটি বিশেষ জায়গা অধিগ্রহণ করেছেন মমতা ব্যানার্জ্জীর দাক্ষিণ্যে বিমল গুরুং প্রসঙ্গে অবশ্য এখনও কিছু জানা যায়নি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সবকিছু দেখেশুনে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। আপাতত শোভন বৈশাখীর রাজনৈতিক মোড় থেকে কোন দিকে টার্ন নেয়, সেদিকেই এখন নজর সবার। আপনার মতামত জানান -