এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলকে সাহায্য করতে এসে এবার কি বড়সড় বিপাকে পিকে? জল্পনা বাড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির!

তৃণমূলকে সাহায্য করতে এসে এবার কি বড়সড় বিপাকে পিকে? জল্পনা বাড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির!

করোনা ভাইরাসের প্রকোপ আটকাতে এখন গোটা দেশ লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে কোনো হেভিওয়েট, কেউ নিজের জায়গা থেকে অন্যত্র যেতে পারছেন না। এক্ষেত্রে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিমান পরিষেবা থেকে শুরু করে ট্রেন পরিষেবা। ফলে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাও তো দূর অস্ত, এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়াও সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সকলের কাছে।

কিন্তু এমতাবস্তায় করোনা ভাইরাসের সময়কালে যখন সমস্ত কিছু বন্ধ, ঠিক তখনই বিমানে চেপে কলকাতায় ভ্রমণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে পরিচিত প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে সর্বত্র শোরগোল পড়ে যায়। কিভাবে প্রশান্ত কিশোর বিমানে চেপে কলকাতায় এলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন একাংশ। সম্প্রতি এই ব্যাপারে প্রশ্ন তোলেন বিহারের বিজেপি নেতৃত্ব।

সূত্রের খবর, একটি বিবৃতিতে বিহার রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে নিখিল আনন্দ প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, “কিভাবে সরকারের কিংবা বিমান সংস্থার কোনো আধিকারিক না হয়ে এই লকডাউনে প্রশান্ত কিশোর কলকাতা যাওয়ার অনুমতি পেলেন! ওনার এই ধরনের ভ্রমণকে কেন অবৈধ হিসেবে বলা হবে না? আমরা দাবি করছি, যে তথ্য দেখিয়ে উনি কলকাতা যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন, তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হোক। অন্যথায় আমরা ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বিমান মন্ত্রকের উপরে এই তদন্ত করার জন্য চাপ প্রয়োগ করব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে প্রশান্ত কিশোরকে কলকাতায় ডেকে পাঠিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন বিহার বিজেপির মুখপাত্র। যা নিয়ে চরম চাঞ্চল্য তৈরি হয়। অনেকেই বলতে থাকেন, সত্যিই তো তাই! কেন এই সময় যেখানে সমস্ত কিছু বন্ধ, সেখানে তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা কলকাতায় এলেন? কিভাবে তিনি আসার সাহস পেলেন? তাহলে কি সাধারণ মানুষের জন্য এক আইন এবং তার জন্য আইন আলাদা?

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির তোলা অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর। বিজেপি নেতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “যদি তিনি সত্যি কথাই বলে থাকেন, তবে তাকে এটাও বলতে হবে যে, আমি কোন ফ্লাইট ধরেছিলাম, কখন ধরেছিলাম এবং কখন কলকাতায় নেমেছি। তা যদি উনি বলতে না পারেন, তাহলে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। আর যদি ঘটনা সত্যি হয়, তাহলে আমি আমার কাজ থেকে অবসর নিয়ে নেব।”

আর বিজেপি নেতার প্রশান্ত কিশোরের উদ্দেশ্যে এহেন বিস্ফোরক মন্তব্যের পর যেভাবে প্রশান্ত কিশোর তা অস্বীকার করলেন এবং পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন যে তাকেই তা প্রমাণ করতে হবে, এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে শোরগোল পরিস্থিতি। অনেকে বলছেন, তাহলে কি সত্যিই প্রশান্ত কিশোর কলকাতায় আসেননি, নাকি বিজেপির পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলা হল!

একাংশের মতে, কিছুটা চাপে পরেই পাল্টা সেই অভিযোগকারী বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে হল তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরকে। তবে তিনি সত্যিই কলকাতা এসেছেন, নাকি তার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে, এখন এই রহস্য সন্ধানেই ব্যস্ত রাজনৈতিক মহল। তবে গেরুয়া শিবির সামগ্রিকভাবে যেভাবে এই নিয়ে তদন্ত চাইছে এবং আক্রমণের সুর চড়াচ্ছে – তাতে পিকের উপর চাপ বাড়লো বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। করোনা অবহেও এই রাজনৈতিক যুদ্ধ শেষপর্যন্ত কোন পরিণতি পায়, আপাতত সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!