এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > কাল অর্জুন-গড়ে পালাবদলের পালা লিখতে চায় তৃণমূল, শুরু বোমাবাজি, আইনি পরামর্শে বিজেপি

কাল অর্জুন-গড়ে পালাবদলের পালা লিখতে চায় তৃণমূল, শুরু বোমাবাজি, আইনি পরামর্শে বিজেপি


লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই তৈরি হয়েছিল সমস্যা। তারপর সেই সমস্যা ক্রমশ বোমাবাজি, গোলাগুলি এবং রাজনৈতিক সংঘর্ষের আকার ধারণ করে। তৃণমূলের অর্জুন সিংহের গড় বলে পরিচিত ভাটপাড়া এখন গেরুয়া হয়ে গেছে। কেননা লোকসভা নির্বাচনে দলের টিকিট না পেয়ে সেই অর্জুন সিং নাম লিখিয়েছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। আর তারপর ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়ে নিজের জয় নিশ্চিত করেছিলেন তিনি।

এদিকে জয়লাভের পর সাংসদ হয়েই উত্তর 24 পরগনার একাধিক পৌরসভার কাউন্সিলরদের বিজেপিতে আনতে সক্ষম হন বঙ্গ বিজেপির মুকুল রায় এবং অর্জুন সিংহ। যা রীতিমতো চাপে ফেলে দেয় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে। তবে সম্প্রতি অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে। উত্তর 24 পরগনার কাঁচরাপাড়া থেকে শুরু করে হালিশহর, নৈহাটি থেকে শুরু করে গারুলিয়া পৌরসভার যে সমস্ত কাউন্সিলররা বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন, তারা ফের তৃণমূলে ফিরে আসতে শুরু করেন।

যার ফলে সেই সমস্ত পৌরসভার দখল নিয়ে নেয় ঘাসফুল শিবির। কিন্তু শাসক দল তৃণমূলের কাছে শেষ যে পৌরসভা দখল করার টার্গেট ছিল, তা হল ভাটপাড়া পৌরসভা। এখনও পর্যন্ত সেই পৌরসভা দখল করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু দিনের পর দিন বিজেপিতে চলে যাওয়া কাউন্সিলররা তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসায় এবার সেই পৌরসভা দখলের দিকে পা বাড়াতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল।

বস্তুত, গত সপ্তাহে এই ভাটপাড়া পৌরসভার 18 জন কাউন্সিলরকে ডেকে বিধানসভায় একটি অনাস্থা প্রস্তাবের সই করিয়ে নেয় তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা গেছে, আগামীকাল শুক্রবার ভাটপাড়া পৌরসভায় বিজেপির বিরুদ্ধে এই অনাস্থার চিঠি জমা দেওয়া হবে। যা নিয়ে এখন শোরগোল তৈরি হয়েছে উত্তর 24 পরগনা জেলাজুড়ে। তবে তৃণমূল এই উদ্যোগ নিলেও পাল্টা কিভাবে তৃণমূলের এই অনাস্থাকে ঠেকানো যায়, তা নিয়ে ঘুটি সাজাতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গেরুয়া শিবিরের একাংশের দাবি, কর্পোরেশনের প্রস্তাব পাস হওয়ার পর আদৌ কি অনাস্থা আনা যায়! ইতিমধ্যেই এই প্রশ্ন তুলে বিজেপির অনেক নেতা পুরো আইন ঘাটতে শুরু করেছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে ভাটপাড়া বিধানসভার তৃণমূলের আহ্বায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, “শুক্রবার আমরা অনাস্থাপত্র জমা দেব। ভাটপাড়া এখনও পৌরসভা। তাই পুর আইন অনুসারে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়া হবে।”

পাল্টা এই ব্যাপারে ভাটপাড়া পৌরসভার বিজেপির ভাইস চেয়ারম্যান সোমনাথ তালুকদার বলেন, “কর্পোরেশনের প্রস্তাব পাস হয়েছে। তাই এরপর অনাস্থা আনা যায় কিনা, তার জন্য আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।” আর বিজেপি বনাম তৃণমূলের এই তরজা একাংশ বলছেন, তৃণমূলের যেনতেন প্রকারে চাইছে গেরুয়া শিবিরকে ঠেকাতে। আর তার কারণেই কর্পোরেশন পাস হওয়ার পর এই অনাস্থা নিয়ে আইনি পরামর্শকে হাতিয়ার করে পরবর্তী পদক্ষেপ করতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

তবে শেষ পর্যন্ত ভাটপাড়া পৌরসভা কার দখলে থাকে, তার দিকে নজর থাকবে সকলের। এদিকে ভাটপাড়ায় যখন পৌরসভা দখলকে ঘিরে দুই শিবিরের অন্দরে প্রস্তুতি চলছে, ঠিক তখনই মঙ্গলবার রাতে বোমাবাজির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই ভাটপাড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। সূত্রের খবর, এদিন ভাটপাড়া 33 নম্বর ওয়ার্ডের মাদ্রাল এলাকায় বিজেপি কর্মী সঞ্জীব চক্রবর্তীর বাড়িতে বোমাবাজি হয়।

অভিযোগ, তার বাড়ির ভেতরে জানালা দিয়ে সেই বোমা ফেলে দেওয়া হয়েছে। তবে সেই সময় তার বৃদ্ধা মা বাড়িতে ছিলেন। কিন্তু বোমাটি ফাটেনি। আর ভাটপাড়া পৌরসভায় তৃণমূলের অনাস্থা আনার আগে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে বোমা ফাটানোর ঘটনা রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি করেছে সর্বত্র। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির দাবি, বিজেপি করার অপরাধেই সঞ্জীববাবুর বাড়িতে এই বোমাবাজি করার চেষ্টা করেছে তৃণমূল।

অন্যদিকে তৃণমূল অবশ্য এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, বিজেপি নিজেরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে যে যাই বলুন না কেন, ভাটপাড়া পৌরসভা দখলকে ঘিরে যখন তৃণমূল বনাম বিজেপির তরজা চরমে উঠেছে, ঠিক তখনই যেভাবে এখানে অশান্তির আগুনের আঁচ পাওয়া গেল, তাতে ভবিষ্যতে এলাকা কতটা শান্ত থাকবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!