এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আইলার থেকেও দুঃস্বপ্নের হতে চলেছে উমপুন? ক্ষতির কথা ভেবে এখন থেকেই ঘুম উড়ছে প্রশাসনের!

আইলার থেকেও দুঃস্বপ্নের হতে চলেছে উমপুন? ক্ষতির কথা ভেবে এখন থেকেই ঘুম উড়ছে প্রশাসনের!


এমনিতেই করোনাকে বধ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। আর তার মধ্যে গোদের উপর বিষফোঁড়া হিসেবে এখন দেখা দিচ্ছে সুপার সাইক্লোন উমপুন। সূত্রের খবর, বুধবার বিকেলে দীঘা থেকে বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মধ্যে এই ভয়ঙ্কর সাইক্লোন আছড়ে পড়তে পারে। যার ফলে আশঙ্কা বাড়ছে সকলের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 1999 সালে ওড়িশার পর এটাই প্রথম ঝড়, যা আয়লার থেকেও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে।

তাই এমত পরিস্থিতিতে প্রশাসন যাতে সব রকম ভাবে তৈরি থাকে, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে সকলকে সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে নজরদারি রাখবার ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। নবান্ন খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। কোনোভাবেই করোনা ভয়াবহতার মধ্যে এই ঝড় যাতে বিধ্বংসী পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি নজরদারি রাখা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এই ভয়ঙ্কর ঝড়ের ফলে রাজ্যের কোন কোন এলাকা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই উমফুন বুধবার বিকেলে অথবা সন্ধ্যায় সুন্দরবনের গা ঘেঁষে অতিক্রম করবে। যখন তার গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় থাকবে 185 কিলোমিটার। তবে বিধ্বংসী ঝড়ের আগে মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়ে যাবে দুর্যোগ। আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে দেওয়া সতর্কবার্তা অনুযায়ী, মঙ্গলবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে দুই 24 পরগনা, 2 মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি এবং কলকাতায়।

তবে বুধবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই বাড়বে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি সহ উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের মালদা এবং দুই দিনাজপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। কিন্তু এই উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে বৃষ্টির পাশাপাশি কত কিলোমিটার বেগে এই ভয়ংকর ঝড় তার দাপট দেখাবে, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে প্রশাসন।

সোমবার এই ব্যাপারে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় কর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে বঙ্গোপসাগরে আরও শক্তি বৃদ্ধি করে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে। আগামীকাল সকাল থেকে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ 95 কিলোমিটার পর্যন্ত ঝড় বইবে। সাইক্লোন উপকূলে পৌঁছে 5 মিটার পর্যন্ত সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।” তবে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতির উপর কারও হাত নেই। তাই এই বিধ্বংসী ঝড়কে আটকাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলেও, শেষ পর্যন্ত ভয়াবহ সুপার সাইক্লোন কতটা তান্ডব লীলা চালায়, তার দিকেই নজর সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!