এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > আমপানের দাপটে এবার হু হু করে বাড়তে চলেছে সবজির দাম? ঘুম উড়তে চলেছে সাধারণ মানুষের?

আমপানের দাপটে এবার হু হু করে বাড়তে চলেছে সবজির দাম? ঘুম উড়তে চলেছে সাধারণ মানুষের?


করোনা ভাইরাসের মধ্যেই গোদের উপর বিষফোঁড়া হিসেবে রাজ্যে প্রবেশ ঘটেছে আমপান নামক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের। যার ফলে এখন বিপর্যস্থ বাংলার বিভিন্ন এলাকা। ঝড়ের দাপটে কারও ঘরের ছাউনি উড়ে গেছে, আবার কারও বা শস্য নষ্ট হয়ে গেছে। জানা গেছে, বর্তমানে এই ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর দুটি ব্লকের আনাজপাতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যার ফলে মাথায় হাত পড়েছে কয়েক হাজার চাষির।

নিত্যনৈমিত্তিক সবজির মধ্যে পটল, ফুলকপি, বেগুন, বিট, গাজর, ক্যাপসিকাম, কাঁচালঙ্কা, ভেন্ডি থেকে শুরু করে নানা সবজি চাষ করা চাষীদের এখন দুশ্চিন্তার শেষ নেই। শুক্রবার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখা যায় যে, ঝড়ের ফলে বাঁশের মাচা ভেঙে পড়ে গিয়েছে। যার ফলে বহু জমিতে প্রচুর জল জমা রয়েছে। এমতাবস্থায় আবহাওয়া পরিষ্কার হলেই ছত্রাকজনিত গোড়া পচা রোগ শুরু হবে। আর তখনই আনাজপাতি কমতে শুরু করবে বলে আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মূলত ডাঙ্গাপাড়া, শ্রীরামপুর, বিদ্যানগর, পাটুলি, কালেখাতলা 1, কালেখাতলা 2 এবং মেড়তলা এলাকায় এই সমস্যা তৈরি করেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, “আমার মত চাষিরা জমির একটা ফসল তোলার সঙ্গে সঙ্গে অন্য জমিতে চারা তৈরি করা শুরু করে দিই‌। আমপান পুরোটা শেষ করে দিয়েছে। নতুন করে বীজ থেকে চারা তৈরি করে ফসল পেতে অনেক সময় লেগে যাবে।” এদিকে আনাজপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং তার ফলে জিনিসের যে প্রচুর দাম বাড়তে শুরু করেছে, এদিন বেশ কিছু ক্ষেত্রে তার আভাসও পাওয়া গেছে।

দেখা গেছে, বুধবার যেখানে প্রতি কেজি পটলের দাম ছিল দশ টাকা, এদিন তা কুড়ি টাকা করে বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে খুচরা বাজারে এদিন পটলের দাম ছিল 25 থেকে 30 টাকা কেজি। আর চাষের এই মারাত্মক ক্ষতি হওয়ায় এখন দাম বাড়ানো ছাড়া যে কোনো উপায় নেই কৃষকদের কাছে, তা বুঝতে পারছেন সকলেই। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে কি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে! এদিন এই প্রসঙ্গে পূর্বস্থলী 2 পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আনাজ চাষীদের দুর্দশা চোখে দেখা যাচ্ছে না। হাজার হাজার টাকা খরচ করে তৈরি করার খেত সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কৃষি দপ্তরকে সমস্ত কিছু জানানো হয়েছে‌।”

কিন্তু এই অবস্থা থেকে বাঁচতে কৃষকদের কি করণীয়! এদিন প্রসঙ্গে জেলার অন্যতম কৃষি অধিকর্তা পার্থ ঘোষ বলেন, “রোদ উঠলেই গুমোট পরিস্থিতি তৈরি হবে। বহু আনাজের গাছ জমিতে মরে যাবে। পরিকল্পনা করেই এগোতে হবে চাষীদের।” এখন আমপানের ফলে বিধ্বস্ত চাষ ক্ষেত্রে কৃষকদের সংকট মেটাতে কি পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রশাসন এবং তাতে আদৌ কৃষকদের মুখে হাসি ফোটে কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!