এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > কর্মীর অভাবে গ্রূপ-ডি স্টাফ দিয়েই ওয়ার্ড মাস্টারের কাজ, স্বাস্থ্য নিয়ে ক্রমশ উদ্বিগ্ন উত্তরবঙ্গ

কর্মীর অভাবে গ্রূপ-ডি স্টাফ দিয়েই ওয়ার্ড মাস্টারের কাজ, স্বাস্থ্য নিয়ে ক্রমশ উদ্বিগ্ন উত্তরবঙ্গ

উত্তরবঙ্গের উদ্বেগ বাড়িয়ে বেহাল পরিষেবা সামনে এল শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের। ওর্য়াড মাস্টার তথা ফেসিলিটি ম্যানেজারের অভাবে চতুর্থ শ্রেনীর কর্মী দিয়েই পরিষেবা চলছে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের। এর জেরে হাসপাতালের প্রশাসনিক কাজে যেমন জটিলতা তৈরি হয়েছে তেমনি কর্মীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে ক্রমশ বাড়তি কাজের চাপ থাকায়।

টিকিট কাউন্টার সহ অন্যান্য কাজের সঙ্গে তাদের এখন ওয়ার্ড মাস্টারের কাজটাও সামলাতে হচ্ছে। এর জেরে অসুবিধায় পড়েছেন তারা। হাসপাতালে তিন জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার রয়েছেন,যাদের দিয়ে রোটেশন ফেসিলিটি ম্যানেজার কাজ সহজেই সামাল দেওয়া যেত।

কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেটা করছে না। এই যুক্তিকে সামনে রেখেই প্রতিবাদে সরব চতুর্থ শ্রেনীর কর্মীদের একাংশ। এমনী তারা হঁসিয়ারীও দিয়েছেন,অবিলম্বে এই ইস্যুর সমাধান না করা হলে তারা এরপর বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবে। আর এরকমটা হলে হাসপাতালের প্রশাসনিক ও পরিষেবার কাজ ব্যাহত হবে বলেই আশঙ্কা। এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্যও এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন,”গোটা বিষয়টি স্বাস্থ্য ভবনে জানানো রয়েছে। তাঁর আশা শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে।”

হাসপাতাল সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে, এই হাসপাতালে ফেসিলিটি ম্যানেজার তথা সাবেক ওয়ার্ড মাস্টারের পাঁচটি পদ রয়েছে। একে একে অবসর নিয়ে সেই পদে এখন মাত্র দু’জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টার পরিষেবার হাসপাতালে ওয়ার্ড মাস্টারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই ওয়ার্ড মাস্টার বা ফেসিলিটি ম্যানেজারের পদে বর্তমানে দুজন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন পিতৃত্বকালীন ছুটিতে এবং অন্যজন অসুস্থ্যতার কারণে অবসরে রয়েছেন।

দ্বিতীয়জনকে মাঝেমাঝেই ছুটি নিতে হয়। অন্যদিকে, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীদের ডিউটি বণ্টন ও তাঁদের কাজ দেখভাল করা, বিভিন্ন ওয়ার্ড সহ হাসপাতালে রোগীদের নানা সমস্যা বা অভিযোগ সামাল দেওয়া, পুলিস কেস দেখার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু ওয়ার্ড মাস্টারের দায়িত্বে থাকা দুজন আধিকারিক ছুটিতে থাকায় তাঁদের কাজগুলো সামলাতে হচ্ছে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীদের। ফলত তাঁদের নিজেদের দায়িত্বের কাজগুলে ব্যাহত হচ্ছে। দুজন ওয়ার্ড মাস্টারের মধ্যে একজন একমাসের ছুটিতে রয়েছেন। অন্যজন যেদিন ছুটি নেন সেদিন চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় হাসপাতালের পরিষেবায়।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তিনি যদি নিয়মিত কাজ আসতপন তাহলেও একজনের পক্ষে তিনটে শিফটে কাজ করা কখনো সম্ভব নয়। এর ফলে হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টারের কাজ নিয়ে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা যেন রোজনামচায় পরিনত হয়েছে। চতুর্থ শ্রেণী কর্মীরা অভিযোগে জানিয়েছেন,এভাবে তাঁদের দিয়ে ওয়ার্ড মাস্টারের কাজ করানো একেবারেই বেআইনি। সমস্যাটি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের কর্মকর্তারা। শীঘ্রই এই সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক পদক্ষেপ না নিলে চতুর্থ শ্রেণী কর্মীদের ক্ষোভের জেরে আগামী দিন পরিস্থিতি উত্যক্ত হওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে হাসপাতাল চত্বরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!