কর্মীদের পুরো বেতন দেওয়া নিয়ে সংস্থার উদেশ্যে বড়সড় সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের! জাতীয় June 12, 2020 দীর্ঘদিন ধরে ভারতবর্ষে লকডাউন চলেছে। করোনা ভাইরাসকে আটকাতে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না কারোর কাছেই। এখনও সম্পূর্ণরূপে অফিস কাছারি খোলা সম্ভব হয়নি। আর এই পরিস্থিতিতে দেশ সচল হতে শুরু করলে এতদিন ধরে মন্দার বাজার যাওয়ায় সমস্ত সংস্থান কর্মচারীদের আদৌ সঠিক ভাবে বেতন দেওয়া সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। তবে নানা মহলে এই ব্যাপারে আশঙ্কার সুর শোনা গেলেও, গত 29 মার্চ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছিল, সমস্ত সংস্থাকে তাদের কর্মীদের পুরো বেতন দিতে হবে। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশকে কার্যত উপেক্ষা করে সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে বেসরকারি সংস্থার জন্য দেওয়া হল স্বস্তির বার্তা। সূত্রের খবর, এদিন সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, লকডাউনের মধ্যে যদি কোনো সংস্থা কর্মীদের পুরো বেতন দিতে না পারে, তাহলে সরকার কোনোভাবেই ওই সংস্থাকে বাধ্য করতে পারে না। আর দেশের শীর্ষ আদালত এই কথা বলায় কেন্দ্রীয় সরকার বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের স্বস্তি দিয়ে বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক নির্দেশিকা জারি করলেও, এক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশিকার আর কোনো গুরুত্ব রইল না বলেই মনে করছে একাংশ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - শুধু তাই নয়, এর ফলে দেশের শীর্ষ আদালত এই ধরনের বক্তব্য পেশ করায় বেসরকারি সংস্থা যদি তাদের কর্মীদের লকডাউনের কারণ দেখিয়ে বেতন না দেয়, তাহলেও সেই কর্মীরা কোনো প্রতিবাদ করতে পারবে না বলে মনে করছেন অনেকে। এদিন বিচারপতি অশোক ভূষনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, শিল্প এবং কর্মচারী দুজনকেই দুজনের দরকার। 50 দিনের মধ্যে যেকোনো বেতণ সংক্রান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে হবে। তবে বেতন নিয়ে সমস্যা থাকা সত্ত্বেও যারা কাজ করতে চান, তাদের কাজ করতে দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।’ সবমিলিয়ে লকডাউনের কারণ দেখিয়ে বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের কোনোভাবেই বেতন কাটা যাবে না বলে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হলেও, এবার কেন্দ্রের নির্দেশকে কার্যত খারিজ করে সংস্থা চাইলে বেতন নাও দিতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের বাধ্য করা যাবে না বলে পাল্টা জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -