এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কয়েক হাজার বছর আগে করা ভারতীয়দের আবিষ্কার কিভাবে এখনও পথ দেখাচ্ছে বিশ্বকে জানলে চমকে যাবেন

কয়েক হাজার বছর আগে করা ভারতীয়দের আবিষ্কার কিভাবে এখনও পথ দেখাচ্ছে বিশ্বকে জানলে চমকে যাবেন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আমাদের দেশে গণিতের চর্চা হালে শুরু হয় নি। এমনও নয় যে ইংরেজরা এসে আমাদের লেখাপড়া শিখিয়েছে। যে সময় ইউরোপে সভ্যতার উন্মেষও হয় নি, সেই সময় আমাদের প্রাচীন মুনি-ঋষিরা জ্ঞান বিজ্ঞানের রীতিমতো চর্চা করছেন। আজকের মতো এতো আধুনিক পরিকাঠামো ছাড়াও কী করে সেই সময় দাঁড়িয়ে বিজ্ঞান-প্রযুক্তিবিদ্যায় তারা এতো উন্নতি লাভ করেছিলেন তা রীতিমতো বিস্ময়কর। বেশি কিছু না, ভারতে প্রাচীন কালে নির্মিত মন্দিরগুলোর শিল্পকর্ম ও নির্মাণ কৌশল দেখলেই বোঝা যায় সেই সময় তাদের বিজ্ঞান সাধনা কতোখানি উন্নত ছিল। বৈদিক যুগের সনামধন্য গণিতবিদ ভাস্করাচার্যের নাম অনেকেই শুনেছেন৷ তাঁর গণিতের বই, “লীলাবতী” আজও গবেষণার বিষয়।
এখন প্রাচীন ভারতের গণিত ক্ষেত্রে কয়েকটি শ্রেষ্ঠ অবদানের কথাই এক ঝলকে জেনে নেবো —

★ “জিরো” বা “শূন্য”-কে নাম্বার বলে স্বীকৃতি ঃ-
প্রাচীন ভারতের এই আবিষ্কার গণিত চর্চাকে একটি নব দিক দেখিয়েছিল। একইসঙ্গে জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এই আবিষ্কার প্রাণ প্রতিষ্ঠাস্বরূপ। এক্ষেত্রে ব্রহ্মগুপ্তের অবদান সবচেয়ে বেশি।

★ আনুমানিক ৩০০ খৃষ্টপূর্বে পিঙ্গলা নামক একজন সংস্কৃত পন্ডিত প্রথমবার ” বাইনারী নাম্বার”-এর ব্যাবহার করেছিলেন তার কাজে। আমরা জানি, এই বাইনারী নাম্বারের ওপরেই দাঁড়িয়ে আছে আধুনিক কম্পিউটার সিস্টেম। একই বাইনারী নাম্বার সিস্টেম বিজ্ঞানী লিভনীজ সপ্তদশ শতকে পৃথিবীর সামনে আনেন।

★ দশ ডিজিট নিউমারাল সিস্টেম ঃ-
২২৪ খৃষ্টাব্দে ভারতেই প্রথম দশ ডিজিট নাম্বার সিস্টেমের জন্ম দেয়। আগেও ব্যাবিলন বা রোমে নাম্বার সিস্টেম ছিল, কিন্তু সেখানে ডিজিটগুলোর স্থায়ী সংকেত ছিল না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

★ ৪০০ খৃষ্টাব্দ নাগাদ ভারতে বৌদ্ধ গ্রন্থে পরমাণু মাপেরও উল্লেখ পাওয়া যায় যেটি আধুনিক কালের সাথে মিলে যায়।

★ নেগেটিভ নাম্বার ঃ-
প্রাচীন ভারতেই নেগেটিভ নাম্বারের প্রথম আবিষ্কার ও ব্যাবহার হয়। ব্রহ্মগুপ্ত ছিলেন প্রথম যিনি নেগেটিভ নাম্বারকে পুঁথিতে নথিভুক্ত করেন।

★ মেনসুরেশান ঃ-
প্রাচীন ভারতে মেনসুরেশান বা ওজন বা পরিমাপ সম্পর্কিত গণিতের অত্যনৃত আধুনিক ব্যাবহারের নিদর্শন পাওয়া যায়। বিশেষ করে স্থাপত্যে এর ব্যাবহার অনবদ্য, এবং আধুনিক বিশ্বের কাছে আজও বিস্ময়। মহেঞ্জোদারোতে একটি প্রাচীন স্কেল-ও পাওয়া যায়।

★ ক্যালকুলাস ঃ-
ভারতবর্ষে প্রথম ক্যালকুলাসের জন্ম হয়। ভাস্করাচার্যের “সিদ্ধান্তঃ শিরোমণি” গ্রন্থে ক্যালকুলাসের উল্লেখ পাওয়া যায়।

এছাড়াও, জ্যোতির্বিদ্যায় আর্যভট্টের আবিষ্কার, সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব, পাই-এর মান আরও কতো কী! অথচ, ইউরোপ পেলো আবিষ্কারের মেডেল। আর প্রাচীন এই ঋষি- আচার্যরা? তারা একের পর এক আবিষ্কার করে গেছেন ‘সৃষ্টিসুখের উল্লাসে!’

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!