ফুলমিষ্টির ছোঁয়াছুয়িতে বাড়তে পারে সংক্রমণ! এবার মন্দিরের পুজো নিয়ে ঘুম উড়ছে প্রশাসনের কলকাতা রাজ্য May 17, 2020 করোনা ভাইরাসকে আটকাতে সামাজিক দূরত্ব কথা বারবার বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সেদিক থেকে লকডাউনের কারণে সমস্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠান পর্যন্ত এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জাগ্রত মন্দিরগুলোতে যেখানে প্রতিদিন ভোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল, এখন সেখানে ভক্তের সমাগম আর হয় না। কোনরকমে গ্রিলের ফাঁকফোকর দিয়ে ঠাকুরের মুখ দেখেই চলে যান অনেক ভক্ত। তবে এর মধ্যেও নিয়ম করে পূজোর প্রসাদ দেওয়া হচ্ছিল কোনো কোনো মন্দিরে। কিন্তু এবার করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় সেটাও বন্ধ হয়ে গেল। সূত্রের খবর, শুক্রবার উত্তর কলকাতার 17 নম্বর ওয়ার্ডে দুর্গাচরণ মিত্র স্ট্রিটের একটি শীতলা মন্দিরের পুরোহিতের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আর এরপর থেকেই অনেকের মনে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। অনেকেই বলছেন, মন্দিরে ব্যবহৃত প্রসাদ, ফুল, ফল কিংবা পুরোহিতের হাতের মাধ্যমে অনেকেই কপালে তিলক দিয়েছেন। ফলে সেই পুরোহিতের করোনা হয়ে যাওয়ায় অনেকের মধ্যেই এখন তা সংক্রমিত হয়ে যেতে পারে। এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এখন বাড়িতে আনাজ মিষ্টি আনলেও আমরা প্যাকেট স্যানিটাইজ করে বা রোদে রেখে স্পর্শ করছি। মন্দিরে তো আসা যাওয়া হয়। ফুল-মিষ্টির হাতবদলের ফাঁকে সংক্রমণ এড়ানো নিশ্চিত করা খুবই কঠিন।” তবে কলকাতার মন্দিরের পুরোহিতের সংক্রমিত হওয়ার পরেই স্থানীয় মন্দিরগুলো স্যানিটাইজ করার কাজ শুরু করা হয়েছে। এদিন এই কথা জানিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর মোহন গুপ্ত। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বস্তুত, করোনা ভাইরাস ভয়াবহ আকার নেওয়ার পর থেকেই বেলুর মঠ, দক্ষিণেশ্বর মন্দির সহ বিভিন্ন মন্দির সতর্ক হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে ভিড় কমানোর ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে এখন লকডাউন কিছুটা শিথিল হওয়ায় কি হবে সেই মন্দিরের পূজার্চনা! এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অছি ও সম্পাদক কুশল চৌধুরী বলেন, “যা দিনকাল, তাতে ভবিষ্যতে বিমানবন্দরের মন্দিরে ভক্তদের দর্শনের সময় দূরত্ব রেখে নির্দিষ্ট সর্তকতা বিধি তৈরি করতে হবে।” একইভাবে সবদিক থেকে তারা সর্তকতা বজায় রাখছেন বলে জানিয়েছেন লেক কালীবাড়ি মন্দিরের সেবায়েত নিতাই বসু। তবে বড় বড় মন্দিরগুলিতে এই ব্যাপারে সতর্কতা বজায় রাখতে দেখা গেলেও, পাড়ায় শনিপুজোতে এই ধরনের কোনো নিয়ম পালন করতে দেখা যাচ্ছে না। অভিযোগ, শনিবার বার ঠাকুরের পূজার দিনে পাইকপাড়ারর একটি মন্দিরের বাইরে একসাথে অনেক ভক্তকে ধুপ জ্বালাতে দেখা যাচ্ছে। যেখানে মানা হচ্ছে না কোনো সামাজিক দূরত্বের নিয়ম। আর এতেই চিন্তা বেড়েছে প্রশাসনের অন্দরে। এদিন এই প্রসঙ্গে কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমরা সরকারি নির্দেশিকা মেনেই সর্তকতা বজায় রাখছি।” তবে এবার মন্দিরের ক্ষেত্রেও পুরোহিত সংক্রমিত হয়ে যাওয়ায় ভক্ত-অনুরাগী মানুষের মন্দিরে যাওয়ার ক্ষেত্রেও যে এবার অনেকটাই সর্তকতা জারি হয়ে গেল, তাতে নিশ্চিত সকলে। যেহেতু কোনও প্রতিষেধক পাওয়া যায় নি এখনো, তাই করোনার হাত থেকে বাঁচতে সাবধানতা ও সচেতনতাই এখন একমাত্র উপায়। আপনার মতামত জানান -