এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > ইয়াসের পর ভয়াবহ দুর্যোগে অস্বস্তি বিজেপির, ভাঙ্গন আটকাতে হেভিওয়েট নেতার ব্লু প্রিন্ট!

ইয়াসের পর ভয়াবহ দুর্যোগে অস্বস্তি বিজেপির, ভাঙ্গন আটকাতে হেভিওয়েট নেতার ব্লু প্রিন্ট!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে তার গ্রহণযোগ্যতা বঙ্গ রাজনীতিতে কতটা রয়েছে, তা প্রমাণ করে দিয়েছিলেন মুকুল রায়। হাতেনাতে তার ফল পেয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। 2017 সালে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে শাসকদলের ঘর ভেঙে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ব্যাপক সাফল্য পাইয়ে দেওয়ার পেছনে মুকুল রায়ের মস্তিষ্ক রয়েছে বলেই দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে দিনকে দিন বিজেপিতে কোণঠাসা হতে শুরু করেন মুকুলবাবু।

দিলীপ ঘোষের গোষ্ঠীর সঙ্গে তার বনিবনা না হওয়ার কারণে সদ্যসমাপ্ত 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্য নিয়ে মুকুল রায় চেষ্টা চালালেও, শেষ পর্যন্ত তাতে সফলতা আসেনি। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি তাকে কাজে লাগালেও, বিধানসভা নির্বাচনে একটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে বেঁধে রেখেছিল বাংলার রাজনৈতিক চাণক্যকে। পরবর্তীতে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির টিকিট জয়লাভ করার পরই দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে মুকুল রায়ের।

দলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত থেকে শুরু করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তার স্ত্রীকে দেখতে গেলে তিনি তার কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন মুকুলবাবু। আর এরপর হঠাৎ করেই বঙ্গ রাজনীতিতে উল্কাপাত ঘটিয়ে নিজের পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক। এদিকে বাংলায় দল ভাঙানোর অন্যতম কারিগর হিসেবে পরিচিত মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার পর থেকেই আশঙ্কার পারদ বাড়তে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টিতে।

জানা গেছে, ইতিমধ্যেই মুকুল রায়ের কাছ থেকে একাধিক ফোন পেয়েছেন বিজেপির অনেক নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা। অনেকেই খুব তাড়াতাড়ি দলবদল করে তৃনমূল কংগ্রেসে শামিল হতে পারেন। স্বাভাবিক ভাবেই কিছুদিন আগে রাজ্যের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ইয়াস নামক ঘূর্ণিঝড়। যার দাপটে বিধ্বস্ত হয়েছে বিভিন্ন এলাকার। তবে কোনো রাজনৈতিক দলের ওপর এর প্রভাব পড়েনি। কিন্তু এবার বঙ্গ বিজেপিতে মুকুল রায় নামক ঝড়ের যে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রভাব পড়বে, তা বুঝতে পারছেন দলীয় নেতারা। আর সেই কারণেই ভাঙ্গন আটকাতে এবার তড়িঘড়ি ডাকা হল বৈঠক।

সূত্রের খবর, মুকুল রায় তৃণমূলে যোগদান করার পর নড়েচড়ে বসেছে ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে রাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করা হচ্ছে। বিজেপির একাংশ আশঙ্কা করছেন, খুব দ্রুত উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গ, মুকুল রায়ের হাত ধরে যারা গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সাংসদ হয়েছিলেন এবং সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে বিধায়ক হয়েছেন, তারা দলবদল করতে পারেন। তাই যতটা সম্ভব ভাঙ্গন আটকানো যায়, এখন তার চেষ্টায় মন দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

ইতিমধ্যেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডেকেছেন। যেখানে রাজ্যের পাঁচ সাধারণ সম্পাদককে ডাকা হয়েছে বলে খবর‌‌। স্বাভাবিক ভাবেই এই বৈঠককে কেন্দ্র করে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, এই বৈঠকের মধ্যে দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কিভাবে লড়াই করা হবে, সেই রণনীতি যেমন স্থাপন হবে, ঠিক তেমনই মুকুল রায় দল পরিবর্তন করার পর ভারতীয় জনতা পার্টিতে ভাঙ্গন ঠিক কি আকার নিতে পারে, সেই বিষয়টিও বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করবেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইয়াস নামক ঝড়ের থেকেও ভয়াবহ দুর্যোগ নেমে আসতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টিতে। যেখানে মুকুল রায় নামক ঝড়ের মধ্য দিয়ে বিধ্বস্ত হয়ে যেতে পারে গেরুয়া শিবির। বলা বাহুল্য, তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার পরেই মুকুল রায় আগে যে জায়গায় ছিলেন, তাকে সেই জায়গাতেই রাখা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দলকে বিস্তারলাভ করাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।

দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে তাকে। আর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করতে না করতেই সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুকুল রায়। যেখানে তার হাতে বিজেপির যে সমস্ত নেতা এবং জনপ্রতিনিধি তৃণমূল কংগ্রেসের সামিল হতে চান, তাদের তালিকা তুলে দিয়েছেন তিনি। যদিও বা বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাদের দলের কোনো জনপ্রতিনিধি মুকুল রায়ের সঙ্গে সামিল হবেন না। কিন্তু কি হবে, তা সময় বলবে।

তবে মুকুল রায় যে খেলা শুরু করে দিয়েছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর সেই খেলায় যে যথেষ্ট চিন্তিত ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, সেই বিষয়টিও ধীরে ধীরে পরিষ্কার হতে শুরু করেছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমপান বা ইয়াসের থেকে মুকুল রায়ের ঝড় ভারতীয় জনতা পার্টির মত সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দলের কাছে কতটা ক্ষয়ক্ষতি বয়ে আনে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!